টি-টোয়েন্টিতে অসিদের সবচেয়ে বড় লজ্জা
নিয়মিত একাদশের আটজন ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসে চরমভাবে পর্যদুস্ত হতে হলো ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চই আসতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে তারও আসা হয়নি।
যার ফলে বাংলাদেশ সফরে অসি দলটিকে নেতৃত্ব দেন ম্যাথ্যু ওয়েড। যদিও তার নেতৃত্বাধীন যে দলটি বাংলাদেশে খেলতে এসেছে তারাও কম শক্তিশালী ছিল না। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, মইসেস হেনরিকস, অ্যালেক্স ক্যারে- এরা কেউ কারো চেয়ে কম নয়।
কিন্তু বাংলাদেশ ঘরের মাঠে যে কতটা ভয়ঙ্কর তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে এবার অসিরা। প্রথম তিনম্যাচ টানা হেরে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কাছে সিরিজ পরাজয়। আর আজ (সোমবার) শেষ ম্যাচে তো রীতিমত লজ্জার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশে আসার আগে এমন লজ্জার মুখোমুখি হতে হবে, তা ঘূর্ণাক্ষরেও কল্পনা করেনি অসিরা।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের লজ্জায় ডুবলো তারা। বাংলাদেশের করা ১২২ রানের জবাবে অলআউট হলো মাত্র ৬২ রানে। টাইগারদের কাছে হারলো ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে। সে সঙ্গে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজয়। রীতিমত দুঃস্বপ্ন অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য। ম্যাথ্যু ওয়েডরা এমন লজ্জা দুঃস্বপ্নে দেখেও ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারে। কারণ, এমন পরিস্থিতি তাদের কল্পনারও বাইরে ছিল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২২ রান। জবাবে ১৩.৪ ওভারে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় অসিরা। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৭৯ রানের। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪.৩ ওভারে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল অসিরা। ২০১৪ টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে এই মিরপুরেই ভারতের কাছে ৮৬ রানের লজ্জায় পুড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
১২৩ রান করতে নেমে সাকিব আল হাসাণের ঘূর্ণি তোপের মুখোমুখিই হয় বেশি তারা। সাকিব নেন ৪ উইকেট, ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ম্যাথ্যু ওয়েড। ১৭ রান করেন বেন ম্যাকডার্মট। বাকিরা ২ অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেনি।
আইএইচএস/