সিরিজ চলাকালীন করোনার খবর আসলে কী হবে, জানালেন বিসিবি সিইও

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২১

লকডাউনের ভেতরে মিরপুর ২ নম্বরে অবস্থিত শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাজ সাজ রব। বাইরে থেকে তেমন কিছু বোঝা না গেলেও ভেতরে অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য।

মাঠ-উইকেটের কিছু সংস্কার ও পরিচর্যার কাজ চলছে পুরোদমে। এছাড়া দুই ড্রেসিংরুম পরিষ্কার, ধোয়া-মোছার খুঁটিনাটি কাজও চলছে। পরিপাটি করা হচ্ছে সবকিছু। সেটা কেন?

ক্রিকেট অনুরাগী, ভক্ত-সমর্থকদের কোনই ব্যাখ্যার দরকার নেই। দেশের ক্রিকেটের এতটুকু খোঁজখবর যারা রাখেন, তাদের সবাই জানেন- করোনার ভয়াবহ অবস্থার মাঝেও হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। আর এই সিরিজ খেলতে আগামীকাল ২৯ জুলাই ঢাকায় আসছে টিম অস্ট্রেলিয়া। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা নাগাদ অসিদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার কথা।

খুঁতখুঁতে অস্ট্রেলিয়া একগাদা শর্ত জুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। সেভাবেই সব প্রস্তুতি চলছে। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন স্বীকার করেছেন, নিরাপত্তা ও করোনা প্রটোকলটা অসিদের চাওয়া অনুযায়ী হচ্ছে। বিসিবির মূল লক্ষ্যই হলো জৈব সুরক্ষা বলয় এবং অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

আগেই জানা, বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া যে ৫ তারকা হোটেলে থাকবে, সেই ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টালে আর কেউ থাকতে পারবে না। ২৯ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট- সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়া দল বিদায়ের মুহূর্ত অবধি কোনো বহিরাগতের প্রবেশাধিকার থাকবে না টিম হোটেলে।

বিসিবি সিইও বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি যেটা নেওয়ার, সেটা নিচ্ছি। আপনারা জানেন ভেন্যু, হোটেলসহ অন্য সব বিষয়ে ওরা (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) যেভাবে চাচ্ছে, যেভাবে তথ্য দিচ্ছে সেটার ভিত্তিতেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের মূল কনসার্নটাই হচ্ছে বায়ো-বাবল নিশ্চিত করা। তাদের খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতই মূল লক্ষ্য।’

করোনা চলাকালীন সময়েও বিসিবি দু' দুটি হোম সিরিজের সফল আয়োজক। সে আয়োজনে নানা অভিজ্ঞতাও সঞ্চিত হয়েছে। কোন বিষয়ে কেমন ও কতটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, সবই জানা হয়ে গেছে।

তারপরও এ সিরিজে একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিসিবি। সিরিজ চলাকালীন দুই পক্ষের কারো যাতে করোনা পজিটিভ না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সাবধানী বোর্ড।

কিন্তু যদি হয়েই যায়, তখন কী হবে? নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানান, ‘সিরিজ চলাকালীন করোনা পজিটিভ কেস আসা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা দুই বোর্ড আলোচনা করছি এরকম কিছু হলেও সিরিজ কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সফলভাবে শেষ করা যায়।'

এখন সব কাজে শেষ তুলির আঁচড় চলছে, জানিয়ে বিসিবি সিইও বলেন, ‘শুধু ফাইন টিউনিং হচ্ছে। বেসিক চাহিদাগুলো, অনুশীলনে কী চায়, এসব নিয়েই আসলে শেষ মুহূর্তের যোগাযোগটা হচ্ছে। আমাদের মেডিকেল বিভাগ, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ করছে।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।