তৃতীয়বার গালি দেয়ায় আমিও তেড়ে গিয়েছিলাম : তাসকিন
মাত্র ৪ রানের জন্য হয়নি বিশ্বরেকর্ড। তবে অবিস্মরণীয় কীর্তির জন্মই দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। চলতি হারারে টেস্টে দুজন মিলে নবম উইকেটে গড়েছেন ১৯১ রানের জুটি। যা কি না প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে নবম উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনের জুটি গড়ার পথে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা। প্রথমে তাসকিনের সঙ্গে লেগে যান জিম্বাবুয়ের পেসার মুজুরাবানি। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ একটি বাউন্সার করেছিলেন মুজুরাবানি। তাসকিন সেটি ছেড়ে দিয়ে হাত ও পা দিয়ে নাচের মতো ভঙ্গিমা করেন।
কিন্তু সেটি সহ্য হয়নি মুজুরাবানির। তিনি তাসকিনের কাছে গিয়ে কড়া চাহনি দিলে ছাড় দেননি তাসকিনও। দুই ফাস্ট বোলারের মধ্যে বেশ কয়েক সেকেন্ড উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। খানিক পর আম্পায়ার এসে তাদের মধ্যস্থতা করেন। তবে পরের বলেও দুজনের মধ্যে দেখা গেছে উত্তপ্ত চাহনি।
তখনই জানার উপায় ছিল না ঠিক কী হয়েছে দুই ফাস্ট বোলারের মধ্যে। তবে দিনের খেলা শেষে তাসকিন জানিয়েছেন সেই সময়ের ঘটনার ব্যাপারে। বিসিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় তাসকিন বলেছেন, মূলত বারবার গালি দেয়ার কারণেই তিনি তেড়ে গিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বোলারের উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘ওরা আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। বাউন্সার মারার চেষ্টা করছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল। আমি ভালো সামলাচ্ছিলামও। বিরক্ত হয়ে বেশ কয়েকবার গালি দিয়েছে। তৃতীয়বার যখন গালি দিয়েছিল, তখন আমিও তেড়ে গিয়েছি, বলছিলাম, ‘আমাকে কেন গালি দিচ্ছ, বল দিয়ে পারলে কিছু কর?’ এটাই। আর কিছু না।’
তাসকিনের ঐ ঘটনার খানিক পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে ভিক্টর নিয়ুচির। এই ঘটনা ৮৮তম ওভার শুরুর সময়। নিয়ুচি ফুল রানআপ নিয়ে বোলিংয়ের জন্য আসলে একদম শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান মাহমুদউল্লাহ। হতাশায় উইকেটরক্ষকের দিকে আলতো করে বল ছুড়ে মারেন নিয়ুচি। তখন কোনো বাক্য বিনিময় হয়নি।
তবে পরের বলে পুরো রানআপ নিয়েও বল করেননি নিয়ুচি। বরং পুরোটা পিচ পাড়ি দিয়ে মাহমুদউল্লাহর কাছে গিয়ে কিছু একটা বলেন তিনি। যা শুনে রেগে যান মাহমুদউল্লাহও। তখন তাদের মধ্যে ঘটে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। নিয়ুচি ফেরার পথ ধরলেও রাগে ফুটতে থাকা মাহমুদউল্লাহ প্রায় মাঝ পিচ পর্যন্ত চলে যান।
এসএএস/জিকেএস