ফিক্সিংয়ের দায়ে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ দুই ক্রিকেটার
জুয়াড়ির কালো থাবা থেকে মুক্তই হতে পারছে না ক্রিকেট। এবার জুয়াড়িদের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের টাকা নিষিদ্ধ হলেন বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার। আইসিসি তাদের নামে ৮ বছর করে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ঘোষণা করেছে।
এই দুই ক্রিকেটার হলেন আমির হায়াত এবং আশফাক আহমেদ। বৃহস্পতিবার আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমিরাতের পেসার আমির হায়াত এবং ব্যাটসম্যান আশফাক আহমেদকে ফাইভ কাউন্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যার শাস্তি হিসেবে তাদের ৮ বছরের জন্য যাবতীয় ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন বিধিমালার ৫ম দফা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে আরব আমিরাতের এই দুই ক্রিকেটার আমির হায়াত ও আশফাক আহমেদের নামে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৯ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটার ভারতীয় জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
‘মিস্টার ওয়াই’ নামের এক ভারতীয় জুয়াড়ি দু’জনকেই চার হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠার পরই তদন্ত কমিটি তৈরি করে আইসিসি।
UAE's Amir Hayat and Ashfaq Ahmed have been charged under the ICC anti-corruption code.
— ICC (@ICC) September 13, 2020
Details https://t.co/juvFwZ5Osg
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুই ক্রিকেটারকেই দোষী সাব্যস্ত করে আইসিসির এই তদন্ত কমিটি। তখন থেকেই তাদের বহিস্কার করে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে চলা অভিযোগ এবং তদন্তের পর শুনানি শেষে রায় ঘোষণা কর হয়। তবে তাদের ৮ বছরের শাস্তি ধরা হবে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড আগেই নিষিদ্ধ করেছিল আশফাককে। ঘটনাচক্রে যে দুই ক্রিকেটারকে আইসিসি নিষিদ্ধ করেছে, তারা দুজনই পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত। পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। আবার যাদের কাছ থেকে এরা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তারা আবার ভারতীয় বলে দাবি আইসিসির। সেদিক থেকে দেখতে গেল এই ফিক্সিং কাণ্ডে একইসঙ্গে এশিয়ার দুই শক্তিধর ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের নাম জড়িয়ে গেল।
আমির ও আশফাকের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে পড়ে অর্থ বা উপহার সামগ্রির পরিবর্তে ম্যাচের ফলাফল প্রভাবিত করা, যাকে ফিক্সিংই বল হয়। এছাড়া ক্রিকেট জুয়ার প্রস্তাব পেয়ে তা আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখাকে না জানানো এবং যে কোনও ধরণের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেও তা এন্টি করাপশন ইউনিটকে না জানানোর মতো অভিযোগও আনা হয়েছে দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে।
আইএইচএস/