এবার টুইটার বিতর্কে ফেঁসে যাচ্ছেন কেকেআর কোচ-অধিনায়ক
কিশোর বয়সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিতর্কিত পোস্টের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ রয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার অলি রবিনসন। এছাড়া একই অভিযোগে আরও এক খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। যার নাম এখনও প্রকাশ করেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
এবার টুইটারে বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও কিউই কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আরেক ইংলিশ তারকা জস বাটলারের সঙ্গে মিলে ভারতীয় বাচনভঙ্গিকে ঠাট্টা-বিদ্রুপের অভিযোগ উঠেছে মরগ্যান-ম্যাককালামের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আলাপচারিতায় ‘স্যার’ শব্দটি ভারতীয় বাচনভঙ্গিতে ঠাট্টা-বিদ্রুপের অংশ হিসেবে ব্যবহার করেন মরগ্যান ও বাটলার। পরে তাদের এই আড্ডায় যোগ দেন ম্যাককালামও। তিন বছর আগের সেসব পোস্ট এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মরগ্যান-ম্যাককালামদের এমন আচরণের মাঝে বৈষম্যমূলক কিছু পাওয়া গেলে, বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না- এমন আভাসই দিয়ে রেখেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রধান নির্বাহী ভেঙ্কি মাইশোর। তবে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানানোর সময় আসেনি বলে মনে করছেন মাইশোর।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে মাইশোর বলেছেন, ‘আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করার মতো বিস্তারিত জানি না এখনও। তাই কোনো উপসংহারে পৌঁছানোর আগে প্রক্রিয়াটা শেষ করার অপেক্ষা করা যাক। তবে স্রেফ জানিয়ে রাখতে বলছি, নাইট রাইডার্স সংগঠন সবসময়ই যেকোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।’
এদিকে ইংল্যান্ড জনপ্রিয় দৈনিক টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনে মরগ্যান-বাটলারের সেই টুইটার বিতর্কের বিষয়ে লিখেছে, ‘মরগ্যান-বাটলারের সেসব টুইটের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলো এমন সময়ে করা হয়েছে, যখন তারা নিজেদেরকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র এবং আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ক্রিকবাজ। তবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি। এমনকি মরগ্যান-বাটলারের এজেন্টদের কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি মন্তব্য। তবে শোনা যাচ্ছে, মরগ্যান-বাটলারের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে ইসিবি।
এসএএস/এমকেএইচ