এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪৪৭ পয়েন্ট, কনওয়ের রেকর্ড
অভিষেক ম্যাচটা স্বর্ণের অক্ষরে বাঁধিয়ে রাখার মতো করেই খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড কনওয়ে। ঐতিহাসিক লর্ডসে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ম্যাচে হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি, গড়েছেন ইতিহাস। সবমিলিয়ে বিশ্বের মাত্র সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
সেই রেকর্ডগড়া ইনিংসের সুবাদে আইসিসি টেস্ট ব্যাটিং র্যাংকিংয়েও রেকর্ড গড়েছেন ২৯ বছর বয়সী কনওয়ে। এক ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমেই তিনি পেয়েছেন ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট, পৌঁছে গেছেন র্যাংকিংয়ের ৭৭ নম্বর স্থানে।
আইসিসি টেস্ট ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে অভিষেক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং এখন তার। ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচে ১০৪ ও ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লু ভিনসেন্ট। সেই পারফরম্যান্সের সুবাদে পেয়েছিলেন ৪৪০ রেটিং পয়েন্ট।
ভিনসেন্টের ২০ বছর আগের গড়া রেকর্ড ভেঙে এখন ৪৪৭ রেটিং পেয়েছেন কনওয়ে। তবে অল্পের জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়নি এ দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যানের। আর মাত্র ৩ রেটিং পয়েন্ট পেলেই ক্রিকেট ইতিহাসেই অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ রেটিংয়ের মালিক হয়ে যেতেন তিনি।
প্রায় ১১৮ বছর আগে, ১৯০৩ সালে নিজের অভিষেক ম্যাচে ২৮৭ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক টিপ ফস্টার। সেই ইনিংসের পর র্যাংকিংয়ে তার নামের পাশে যোগ হয় ৪৪৯ রেটিং পয়েন্ট। আর চলতি বছরের শুরুতে কাইল মায়ার্স ৪০ ও ২১০ রানের ইনিংস খেলে পেয়েছেন ৪৪৮ রেটিং পয়েন্ট। এ তালিকায় তৃতীয় ব্যাটসম্যানই হলেন কনওয়ে।
অন্যদিকে বল হাতে ম্যাচটিতে উজ্জ্বল ছিলেন ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার অলি রবিনসন। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। যার সুবাদে বোলিং র্যাংকিংয়ে ৬৯ নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
এছাড়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি পেসার টিম সাউদি। লর্ডসের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো ৬ উইকেট নিয়ে বোলিং র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা তৃতীয় স্থানে উঠে গেছেন তিনি।
এসএএস/এমকেএইচ