পাকিস্তান দলে ডাক পেলেন মঈন খানের ছেলে, ফিরলেন অভিজ্ঞরাও
চলতি মাসের শেষদিকে দুই মাসের সফরে বের হবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এ সফরে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৩ ওয়ানডে, ৮ টি-টোয়েন্টি ও ২ টেস্ট খেলবে পাকিস্তান। এ লম্বা সফরের জন্য তিন ফরম্যাটের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিম।
প্রথমবারের মতো পাকিস্তান জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মঈন খানের ছেলে আজম খান। পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে ভালো করার সুবাদে ২২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আজমকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ডেকে নিয়েছে পিসিবি।
এদিকে তিন ফরম্যাটের ভিন্ন ভিন্ন স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। সবশেষ দুই টেস্ট সিরিজের দলে না থাকা ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যাবে পাকিস্তান। ফিটনেস বিবেচনায় লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকেও রাখা হয়েছে স্কোয়াডে।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। যিনি সবশেষ গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুইটি এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি সিরিজে বাদ পড়েন ইমাদ। গত মার্চে পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর কোনো ক্রিকেটই খেলেননি তিনি।
আগামী জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সে দলেই ডাকা হয়েছে ইমাদকে। এর বাইরে ওয়ানডে দলে ফেরানো হয়েছে বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিস সোহেলকে। যিনি সৌদ শাকিলের কাছে জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
প্রায় দুই মাসের সফরের জন্য আগামী ২৫ জুন ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে পাকিস্তান দল। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে ২১ জুলাই পৌঁছাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে। সেখানে হবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট ম্যাচ। সব শেষ করে ২৫ আগস্ট দেশে ফেরার জন্য রওনা হবে তাদের বিশাল বহর।
তিন ফরম্যাটে পাকিস্তানের স্কোয়াড
টেস্ট: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (সহ-অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, ফাহিম আশরাফ, ফাওয়াদ আলম, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমরান বাট, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, নোমান আলি, সাজিদ খান, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাহনওয়াজ দাহানি, ইয়াসির শাহ (ফিটনেসের ওপর নির্ভরশীল) ও জাহিদ মাহমুদ।
ওয়ানডে: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, ফাহিম আশরাফ, ফাখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হারিস সোহাইল, হাসান আলি, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সালমান আলি আঘা, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও উসমান কাদির।
টি-টোয়েন্টি: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আরশাদ ইকবাল, আজম খান, ফাহিম আশরাফ, ফাখর জামান, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), শাহিন শাহ আফ্রিদি, শারজিল খান ও উসমান কাদির।
এসএএস/জিকেএস