অধিনায়কের চওড়া ব্যাটে ব্রাদার্সের প্রথম জয়
বৃষ্টির কারণে জয়-পরাজয় নির্ধারিত না হলেও গত ৩১ মে বিকেএসপি মাঠে লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে ৫৫ বলে ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন ওল্ডডিওএইচএসের মাহমুদুল হাসান জয়। আজ সেই রুপগঞ্জের বিপক্ষেই আরেক উত্তাল ইনিংস খেললেন মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মিজানের উত্তাল উইলোবাজির মুখে খড়কুটোর মত উড়ে গেছে নাঈম ইসলামের রুপগঞ্জ। মাত্র ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়া দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেনি রুপগঞ্জ। ম্যাচে ৮ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে গোপিবাগের দল ব্রাদার্স।
অধিনায়ক মিজান খেলেছেন ৫২ বলে ৭৪ রানের হার না মানা ইনিংস। আর সেই আক্রমণাত্মক ইনিংসে ভর করেই ২৭ বল আগে জয়ের বন্দরে ব্রাদার্স। চলতি আসরে এটিই তাদের প্রথম জয়। গত ৩১ মে লিগের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল ব্রাদার্সের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ।
কাগজে কলমে তুলনামূলক ভালো নিয়েও লড়িয়ে পুঁজি গড়তে পারেনি লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আলাউদ্দিন বাবুর হ্যাটট্রিকসহ দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১১ রানে অলআউট হয় নাইম ইসলামের দল।
এই টার্গেট তাড়া করতে না আবার ব্রাদার্সও বিপাকে পড়ে- কেউ কেউ এমন চিন্তা করলেও অধিনায়ক মিজানুর রহমানের চওড়া ব্যাটিংয়ে সে চিন্তা অমূলক প্রমাণ হলো। রুপগঞ্জ বোলারদের এতটুকু পাত্তা না দিয়ে মিজান ইচ্ছেমত খেলেছেন।
তিনটি ছক্কা ও আটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি, বেশিরভাগই উইকেটের সামনে। কখনো লং অফ, লং অন আবার কখন ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে হাওয়ায় উড়িয়ে মেরে। যেভাবে খেলেছেন, তাতে মাহমুদুল হাসান জয়কে টপকে এখন পর্যন্ত লিগের এক ম্যাচের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক হতে পারতেন অনায়াসে।
কিন্তু জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে পেসার মোহাম্মদ শহীদের বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেট আর স্কয়ার লেগের মাঝামাঝি ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ব্রাদার্স ক্যাপ্টেন। এর আগে জুনায়েদ সিদ্দিকীর সঙ্গে মিলে প্রথম উইকেটে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ব্রাদার্সকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন মিজান।
বাঁহাতি জুনায়েদ ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি স্পিনার সাঞ্জামুল ইসলাম নয়নের বলে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন (১৯ বলে ২১)। তারপর জাহিদুজ্জামান (১১*) ও মাইশুকুর (৬*) ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন।
এআরবি/এসএএস/এএসএম