ইমরুলের সঙ্গে এমন আচরণে বিস্মিত ফাহিম
দল ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। তেমন বড় ধরনের বিতর্ক হয়তো নেই। তবে কিছু জিজ্ঞাসা, প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন-অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে কেনইবা ডাকা হলো, আবার তাকে কেনইবা ১৯ জনের রাখা হলো না? ১৫ জনের মূল দলে তো নেই-ই, স্ট্যান্ডবাইয়েও জায়গা হয়নি সিনিয়র এই ব্যাটসম্যানের।
ইমরুল নিজেকে খানিক দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার শেরে বাংলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে শেষ মাঠে নেমেছিলেন। মনে হচ্ছিল, দীর্ঘ বিরতির পর এবার বুঝি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ বাঁহাতি টপ অর্ডার ফেরানো হবে, তার অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করা হবে।
কিন্তু হায়! ইমরুল কোথাও নেই। তাকে ডেকেও কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে বাইরে। তিন বছর পর ওয়ানডে ক্যাম্পে কেনইবা ডাকা হলো আর কেনইবা তাকে এভাবে উপেক্ষা করা হলো? ইমরুল-ভক্তরা স্বভাবতই হতাশ।
হতাশ দেশের ক্রিকেটের নামি প্রশিক্ষক, সাকিব-মুশফিকদের গুরু ও বিকেএসপির বর্তমান হেড কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমও। শুধু হতাশই নয়, তিনি রীতিমত বিস্মিত। তার কথা, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি যে ইমরুলকে ক্যাম্পে ডেকেও নেয়া হয়নি।’
ফাহিম মনে করেন, ইমরুলের মতো সিনিয়র একজন ব্যাটসম্যানকে ক্যাম্পে ডেকে আবার দলে না নেয়াটা বেশ দৃষ্টিকটু ব্যাপার। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেট কোচ বলেন, ‘ইমরুলের নামের পাশে ৮০টি (প্রকৃতপক্ষে ৭৮ টি) ওয়ানডে। তাকে আমরা প্র্যাকটিসে ডেকে আবার বাদ দিয়ে দিলাম। বলা হলো তাকে নাকি মূল দলে নেয়ার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। তাহলে কেন ডাকা হয়েছে? এটা খুব দুঃখজনক, লজ্জাজনক।’
ফাহিম মনে করছেন, ইমরুলের মতো একজন ক্রিকেটারকে যথেষ্ট অপমান করা হয়েছে এটা করে। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই অনেক সম্মানের জায়গা দেয়া উচিত। হাতেগোনা কটি টেস্ট, ৪-৫ টি ওয়ানডে খেলা অনেক ক্রিকেটারকেও আমরা সম্মান দেই। ইমরুল তাদের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট আর ওয়ানডে খেলেছে, পারফরমও করেছে। তার নামের পাশে ৩ টেস্ট আর ৪ ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে। কাজেই সে সম্মানটা পেতে পারতো। ওর তো এখন মুখ দেখানো কঠিন হয়ে যাবে।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম