চট্টগ্রামে ‘কালা ভুনা’ খেতে চায় বিদেশি ক্রিকেটাররা : তামিম
খেলার কারণে নানান দেশে ঘুরতে হয় পেশাদার ক্রিকেটারদের, মানিয়ে নিতে হয় বিভিন্ন দেশের খাদ্যাভাসের সঙ্গে। একেক অঞ্চলের একেক দেশে খাদ্যাভাস হয়ে থাকে একেক রকম। উপমহাদেশে যেমন অধিক মশলাদার খাবারের চাহিদা বেশি, বাইরে গেলে আবার সাদা খাবারই বেশি খেতে হয় ক্রিকেটারদের।
এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাধারণত খুব একটা সমস্যা হয় না তাদের। বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে গেলে যেমন কালা ভুনার খোঁজ করেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। শুধু তাই নয়, চামচের বদলে বাংলাদেশিদের মতো হাত দিয়েই খাওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর আয়োজন ক্রাঞ্চ টাইম। যেখানে নিজের খাদ্যাভাস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পাশাপাশি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা রাঁধুনির নামও।
তামিমকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, বাংলাদেশের কোন খাবারটি তিনি বিদেশি ক্রিকেটারদের বিশেষ আগ্রহের সঙ্গে খাওয়াতে চান। উত্তরটা খানিক ঘুরিয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘যখন চট্টগ্রামে বিপিএলের খেলা হয়, তখন অনেক বিদেশি খেলোয়াড় কালা ভুনা খেতে চায়। এটা বেশ ঝাল। তবে সবাই একটা জিনিস চেষ্টা করে, তা হলো হাত দিয়ে খেতে চায় ওরা।’
এ তো গেল বিদেশি ক্রিকেটারদের কথা। তামিম নিজে যখন বাইরে যান, তখন কোন দেশের খাবার বেশি পছন্দ তার? তামিমের উত্তর, ‘লন্ডন এবং দুবাই। লন্ডনে আপনি সবধরনের খাবার পাবেন। দুবাইয়েও ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির খাবার পাওয়া যায়। এমন শহরগুলো আমার ভালো লাগে। লন্ডনের চায়না ট্যাঙ আমার প্রিয় রেস্তোরাঁ।’
সাধারণত ভোজনরসিক হলেও, যখন ফর্মে থাকেন তখন নিজের খাদ্যাভাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন তামিম। এমনকি ভালো ইনিংস খেললেও নিজেকে কোনো পুরস্কার দেন না তিনি, ‘আমি যখন রান করি, তখন অনেক খুশি থাকি। তখন কঠোর ডায়েট মেনে চলি।’
এসময় সতীর্থদের মধ্যে সেরা রাঁধুনির কথা জিজ্ঞেস করা হলে তামিম বলেন, ‘আমরা যখন লম্বা সফরের জন্য বাইরে যাই, তখন হোটেলে রান্নার ব্যবস্থা থাকে। আমাদের দলে একসঙ্গে রান্না করার একটি রীতি আছে। ইমরুল কায়েস আমাদের প্রধান রাঁধুনি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে ইমরুল দলে না থাকলে এ দায়িত্ব তুলে নেন মুশফিকুর রহীম। সে দারুণ রাঁধুনি। অনেক ভালো মুরগি রান্না করতে পারে। আমরা সাধারণত খিচুড়ি, মুরগি এবং হরেক রকম ভর্তা বানাই। দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক সফরে এমন করেছি আমরা।’
এসএএস/এমএস