‘নিউজিল্যান্ডে ঠিকমতোই নিজেদের প্রস্তুত করছে টাইগাররা’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২১

জাতীয় দলের বহর নিউজিল্যান্ড গিয়ে পৌঁছেছে ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথম ওয়ানডে ১৯ মার্চ। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব কষলে প্রায় ২৫ দিন। কিন্তু করোনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে ওয়ানডে সিরিজের আগে সপ্তাহ দুয়েকের বেশি অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন না তামিম-মুশফিকরা।

এর বাইরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচও নেই। শুধু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে কুইন্সটাউনে ৫ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি ক্যাম্প হবে। মোদ্দা কথা, প্রায় এক মাস আগে নিউজিল্যান্ডে গিয়েও করোনার কোয়ারেন্টাইন প্রটোকল মানতে গিয়ে খুব বেশিদিনের মাঠের প্রস্তুতি নিতে পারছে না টাইগাররা। সেটা কতটা পর্যাপ্ত? নিউজিল্যান্ডের অনভ্যস্ত ও প্রতিকূল কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য তা কি যথেষ্ট?

নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে তার বিশ্বাস, যে কারণে নিউজিল্যান্ডে আগে আসা, তা অনেকটাই কাজে লাগানো গেছে।

বাশার বলেন, ‘আমরা যে সময়টা পাচ্ছি, এখানে যে উইকেট দেখছি, নিউজিল্যান্ডের উইকেট এমনই হয়ে থাকে। এরপর কুইন্সটাউনে কয়েকদিন প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাব। আমার মনে হয় আমরা যে কষ্টটুকু করছি, আগে এসে সেটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছি।’

হাবিবুল বাশার যোগ করেন, ‘আমার মনে হয়, এটা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগবে এই সিরিজে। কারণ এখানকার কন্ডিশন আমাদের কন্ডিশনের থেকে একেবারেই ভিন্ন। হয়তো ডানেডিনে ঠান্ডা একটু বেশি থাকবে। উইকেট কিন্তু এরকমই থাকবে। ফলে আমাদের যে একটু আগে আসা, এটা খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি।’

এক সময় অধিনায়ক ছিলেন। এখন তিনি নির্বাচক। খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটারদের সাথে অন্যরকম সখ্য, নিবিড় সম্পর্ক হাবিবুল বাশারের। নিউজিল্যান্ডে এসেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিশছেন, কথা হচ্ছে। বাশার মনে করেন, ক্রিকেটাররা সবাই সন্তুষ্ট, খুশি। সবাই যতটা সময় পাচ্ছে, ততটা কাজে লাগাতে সাধ্যমত চেষ্টা করছে।

বাশার বলেন, ‘যেটুকু কথা হয়েছে, সবাই খুব খুশি। যেটুকু সময় পাচ্ছে, তারা খুব ভালোমতো কাজে লাগাতে পারছে। খুব বেশি সময় যদিও পাচ্ছে না, তবে যতটুকুই পাচ্ছে কাজে লাগাচ্ছে। তারা খুব খুশি এবং মনে করছে এই যে সময়টুকু সিরিজের আগে, কাজে লাগবে।’

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মানছেন, কোয়ারেন্টাইন প্রটোকলের কারণে প্রথমদিকে যে হোটেলবন্দি থাকতে হয়েছে, সেটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু ১৪ দিন পর সবাই মুক্ত হয়ে ঘুরতে পারে, এই ব্যাপারটাকে ইতিবাচকই মনে করেন বাশার।

তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েকদিন কঠিন ছিল। প্রথম দুই-তিনদিন আমাদের বুঝতে সময় লেগেছে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নরকম এক অভিজ্ঞতা সবার জন্যই। চার-পাঁচদিন পর হয়তো সবার সাথে টুকটাক দেখা হচ্ছিল। এখন প্র্যাকটিসের সুযোগ পাচ্ছি।’

নিউজিল্যান্ডে পুরো সিরিজ বাবলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না, এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাশার। তার ভাষায়, ‘(এই পরিস্থিতিতে) আমরা যখনই কোনো সিরিজ খেলি, এক মাসের বেশি সময় বাবলের মধ্যে থাকতে হয়। এই সময়টা কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারি না, পরিবারের কেউ আসতে পারে না। সেটা বরং কঠিন।’

বাশার যোগ করেন, ‘এখানে অনেক বড় একটা সুবিধা, ১৪ দিন পরেই আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারব, যে কোনো জায়গায় যেতে পারব এবং খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালোভাবে ইনজয় করতে পারব। এটা কিন্তু একদিকে ভালো যে, আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন, তারপর আর বাবলে থাকতে হচ্ছে না। ছেলেরা এটাকে খুব ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে।’

এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।