ব্যর্থতার ভিড়ে ব্যতিক্রম মেহেদি, অল্পেই থামল রাজশাহী
প্রথম ম্যাচে দলকে জেতানো ফিফটির পর দ্বিতীয় ম্যাচে নামতেই হয়নি ব্যাটিংয়ে। আজ (শনিবার) ফের ব্যাটিংয়ের ডাক পড়তেই দলের উদ্ধারকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন শেখ মেহেদি হাসান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ঝড়ো ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন লড়াই করার মতো সংগ্রহ।
টপ-মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় মাত্র ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল রাজশাহী, ততক্ষণে শেষ খেলা হয়ে যায় ১০.৩ ওভার। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাল্টা আক্রমণ সাজিয়ে ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি। তার এই ইনিংসের কল্যাণেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করতে পেরেছে রাজশাহী। বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৩ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকেন রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল ইসলাম ইমন। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা শান্ত এদিন ১৯ বল খেলে করতে পেরেছেন ২৪ রান। পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফিরে যান রাজশাহীর অধিনায়ক।
তিন নম্বরে নেমে বেশি কিছু করতে পারেননি রনি তালুকদার। মেহেদি মিরাজের বোলিংয়ের সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৮ বলে করেন ৬ রান। অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার আনিসুল ইমন রানের জন্য খাবি খেতে থাকেন। তার ওপর চাপ আরও বাড়ে চার নম্বরে নামা মোহাম্মদ আশরাফুল রানআউট হয়ে ফিরে গেলে।
ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিসফিল্ড থেকে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হন ৬ রান করা আশরাফুল। এর আগে দারুণ এক ফ্লিক শটে মিডউইকেট দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক বাউন্ডারি হাঁকান এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। সেই ওভারেই তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান আনিসুল ইমন। প্রথম ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও এদিন ৩ চারের মারে ২৭ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি ইমন।
দশ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহীর চাপ আরও বাড়ে পরের ওভারে নুরুল হাসান সোহান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে গেলে। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মেহেদি হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। হাত খুলে খেলতে থাকেন মেহেদি, একপ্রান্ত আগলে রাখেন ফজলে রাব্বি।
দুজনের জুটিতে ৫০ বলে ৬৫ রান পায় রাজশাহী। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ৩২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন ফজলে রাব্বি। শেষ ওভারে কামরুল রাব্বির ইয়র্কার লেন্থের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান মেহেদি। আউট হওয়ার আগে ৩টি ছয়ের মারে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস।
বরিশালের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এছাড়া আগের ম্যাচের শেষ ওভারে বেধড়ক পিটুনি খাওয়া মেহেদি মিরাজ আজ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহির ঝুলিতে গেছে ১টি করে উইকেট।
এসএএস/এমএমআর/জেআইএম