৩২তম জন্মদিনে কোহলির ৩২ জানা-অজানা তথ্য

শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ
শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ , স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২০

আজ থেকে ঠিক ৩২ বছর আগে ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক ও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা কোহলির আজ ৩২তম জন্মদিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার জন্মদিনে নানান শুভেচ্ছাবার্তা দিচ্ছেন সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরাও।

কোহলির ৩২তম জন্মদিনকে বর্ণিল করে রাখতে ব্যতিক্রমী এক পথই বেছে নিয়েছেন স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কের ক্রিকেট এনালিস্ট সারেং ভালেরাও। তিনি কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৩২টি জানা-অজানা তথ্য একত্র করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে। যেখানে রয়েছে দারুণ সব তথ্য।

জাগোনিউজের পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ

১/ মাত্র ৯ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালের ৩০ মে তারিখে শুরু হয় বিরাট কোহলির ক্রিকেট ক্যারিয়ার। রাজকুমার শর্মার অধীনে পশ্চিম দিল্লি ক্রিকেট একাডেমিতে যোগ দেন কোহলি। আইনজীবী বাবা প্রেম কোহলির সঙ্গে একাডেমিতে যান বালক কোহলি। শারজাহয় শচিন টেন্ডুলকারের ইনিংস দেখে প্রভাবিত হয়েছিলেন কোহলি।

২/ ২০০১-০২ মৌসুমে দিল্লির অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পাননি কোহলি। পরের মৌসুমে দিল্লির অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা করে নেন তিনি। সেবার ছয় ম্যাচে ১ ফিফটি করেন কোহলি। ২০০৩-০৪ মৌসুমে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অধিনায়কত্ব পান কোহলি। বিসিসিআই স্বীকৃত টুর্নামেন্টে তার প্রথম সেঞ্চুরিও আসে সেবার। জম্মু-কাশ্মীরের বিপক্ষে মিলিয়া গ্রাউন্ডে ১১৯ রান করেছিলেন তিনি।

৩/ ২০০৪-০৫ মৌসুমে অনূর্ধ্ব-১৭ বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে অংশ নেন কোহলি। সেবার ৫ ইনিংসে হাঁকান সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৫১* রানে। সবমিলিয়ে ১১৭.৫০ গড়ে ৪৭০ রান করেন তিনি। পরের মৌসুমে ৯ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৭৫৭ রান করেন কোহলি, যেখানে ছিল ২২৮ রানের ইনিংস। ঐ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।

৪/ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোহলির অভিষেক হয় ২০০৬-০৭ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফিতে। দিল্লির ঘরের মাঠ ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে অরুন জেটলি স্টেডিয়াম) তামিল নাড়ুর বিপক্ষে নামেন তিনি। তখন কোহলির বয়স ১৮ বছর। একই ম্যাচে দিল্লির হয়ে ইশান্ত শর্মা ও তামিল নাড়ুর হয়ে মুরালি বিজয়ের অভিষেক হয়েছিল।

৫/ ২০০৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাবাকে হারান কোহলি। সকালবেলা চোখ মুছতে মুছতে ফিরোজ শাহ কোটলায় যান তিনি। কর্ণাটকার বিপক্ষে ম্যাচটিতে দিল্লির অবস্থা সুবিধাজনক ছিল না। সেই অবস্থায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। যা ছিল প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তার প্রথম ফিফটি। এই ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ বাঁচিয়ে নেয় দিল্লি। সেদিন আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছিলেন কোহলি।

৬/ ২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতীয় যুবাদের নেতৃত্ব পান কোহলি। তখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন তন্ময় শ্রীভাস্তাব। বিশ্বকাপের আগে ৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৭৩ রান করেন কোহলি, সর্বোচ্চ ছিল ১৫৯ রান। ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হিসেবে একটি ম্যাচও হারেননি কোহলি।

৭/ একই বছর শুরু হওয়া আইপিএলে প্রতি দলে একজন করে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়কে নেয়ার নিয়ম করা হয়েছিল। সেই প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম সুযোগ পায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু তারা নেয় প্রদীপ সাংওয়ানকে। পরে সুযোগ পেয়ে কোহলিকে ডেকে নেয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। আইপিএল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত একই দলে খেলছেন কোহলি।

৮/ ২০০৮ সালের জুন মাসে বিরাট কোহলি, প্রদীপ সাংওয়ান ও তন্ময় শ্রীভাস্তবকে বর্ডার-গাভাস্কার স্কলারশিপ দেয়া হয়। যার অংশ হিসেবে এ তিনজন খেলোয়াড় ব্রিসবেনের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে ছয় সপ্তাহের অনুশীলনের সুযোগ পান। এই ক্যাম্পে পরে ধাওয়াল কুলকার্নিও যোগ দেন। তাকে দিলিপ সারদেসাই স্কলারশিপ দিয়েছিল মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

৯/ ব্রিসবেনের সেই ক্যাম্পে হওয়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইমার্জিং প্লেয়ার্স টুর্নামেন্টে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কোহলি। ভারতীয় দলের নির্বাচক দিলিপ ভেংসরকার কাছ থেকে ইনিংসটি দেখেন এবং কোহলিকে শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে দলে ডেকে নেন। সুযোগ পাওয়ার আগে মাত্র ৮টি লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলেছিলেন কোহলি।

১০/ ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন কোহলি। সেই সিরিজের পাঁচ ম্যাচে একটি ফিফটি করেন তিনি এবং বাকি ম্যাচগুলোতেও নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করেছিলেন। বিশেষ করে মুত্তিয়া মুরালিধরন ও অজান্থা মেন্ডিসকে দারুণভাবে সামলেছিলেন তিনি। সেবারই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জেতে ভারত।

১১/ বিরাট কোহলির ডাকনাম চিকু। এই নাম কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। তার মধ্যে একটি হলো, হিন্দি ম্যাগাজিন চম্পকের একটি চরিত্র ছিল চিকু। সেখান থেকেই এসেছে কোহলির চিকু ডাকনামটি। আরেক সূত্রে জানা যায়, একসময় কোহলির হেয়ারকাট দেখে দিল্লির সহকারী কোচ অজিত চৌধুরী বলেছিলেন তাকে (কোহলি) চিকুর মতো দেখাচ্ছে।

১২/ ওয়ানডে ক্রিকেটে কোহলির প্রথম সেঞ্চুরি ছিল ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। সেই ম্যাচে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তবে গম্ভীর সেটি তরুণ কোহলিকেই দিয়ে দেন।

১৩/ ভারতের ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন কোহলি। ভারতের প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। পরে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।

১৪/ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বিরাট কোহলির প্রথম উইকেটটি এসেছিল একটি ওয়াইড বল থেকে। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করেন কোহলি। নিজের প্রথম বলটিই করেন ওয়াইড। সে বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে যান কেভিন পিটারসেন। ফলে তখন কোহলির বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ০-০-১-১; অর্থাৎ কোনো বল না করেই একটি উইকেট।

১৫/ টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির শুরুটা ঠিক সাফল্যমণ্ডিত ছিল না। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা পাননি। তবে পরে অস্ট্রেলিয়া সফরে সুযোগ পান তিনি। সেই সফরে মেলবোর্ন ও সিডনিতে ব্যর্থ হলেও পার্থে রানের দেখা পান।

পরে অ্যাডিলেইডে করেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করার পথে ৯৯ রানের মাথায় প্রায় রানআউট হয়েই গেছিলেন তিনি। তখন অসি পেসার বেন হিলফেনহাসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় কোহলির। পরে শান্ত হয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ততদিনে তার নামের পাশে ছিল ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

১৬/ ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোবার্টে মাত্র ৮৬ বলে ১৩৩* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন কোহলি। এরপর তৎকালীন নির্বাচক কমিটির প্রধান ক্রিস শ্রীকান্থ ২০১২ সালের এশিয়া কাপে কোহলিকে সহ-অধিনায়ক বানিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন, কোহলির মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার সকল গুণ রয়েছে।

১৭/ ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এর আগে যারাই ১৮৩ রান করেছিলেন, তারা ভারতের অধিনায়ক হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে ১৮৩ রান করে ২০০০ সালে অধিনায়ক হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। পরে ২০০৫ সালে ১৮৩ রান করে ২০০৭ সালে অধিনায়ক হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিরাট কোহলি প্রথমবার অধিনায়কত্ব ২০১৩ সালে।

১৮/ প্রথমবার যখন দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ পান, তখন ব্যাটের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে চাচ্ছিলেন কোহলি। তার কোচ তখন বিডিএম কোম্পানির কথা বলেন। কিন্তু বিডিএম তখন কোহলির সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি হয়নি। তবে পরে ২০০৮ সালে কোহলি যখন ভারতের হয়ে খেলেন, তখন ঠিকই চুক্তি করে বিডিএম।

১৯/ ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে টেস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান শচিন টেন্ডুলকার। তখন ড্রেসিংরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েন কোহলি। পরে তিনি শচিনকে একটি সুতা দেন, যা কি না তার বাবা তাকে শুভকামনা জানিয়ে দিয়েছিল। কোহলি-শচিন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। সেখানে বেশ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল।

২০/ দক্ষিণ আফ্রিকায় শচিনের অবসরপরবর্তী সিরিজে চার নম্বরে ব্যাটিং করেন কোহলি এবং একটি সেঞ্চুরি হাঁকান। তবে এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রান করেন। এই ব্যর্থতার পর শচিনের অধীনে মুম্বাইয়ের বিকেসিতে অফস্ট্যাম্পের ডেলিভারি খেলার টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করেন কোহলি। যা তার জন্য ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়।

২১/ ২০১৪ সালের অ্যাডিলেইড টেস্টে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান কোহলি। নিজের প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচেই জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান এ চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান। সেই ম্যাচের পঞ্চমদিন সকালে দলের সবাইকে জানান, একদিনে ৩৬৪ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করতেই নামবেন তিনি। সেই সিরিজে মোট ৪টি সেঞ্চুরি করেন কোহলি।

২২/ শচিনের সঙ্গে কোহলির অদ্ভুত এক মিল হয়েছে। দুজনই নিজেদের ১০০০ টেস্ট রান পূরণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তারিখ ছিল ২৮ ডিসেম্বর, মাঠ ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, বয়স ছিল ২৬, দুজনই খেলেছিলেন ১১ টেস্টের ১৯টি ইনিংস, দুজনের ঝুলিতেই ছিল ৫ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি।

২৩/ ২০১৪ সালের শিক্ষক দিবসে নিজের বাল্যকালের ক্রিকেট কোচ রাজকুমার শর্মার জন্য একটি বিশেষ উপহার পাঠান কোহলি। তিনি নিজে বিদেশ সফরে থাকায় ফোন করে রাজকুমারকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন।

২৪/ ২০১৬ সালের আইপিএল চলাকালীন সময়ে 'অভলমায়া' নামক একটি বৃদ্ধাশ্রম ঘুরে আসেন কোহলি। সেখানকান বয়স্ক মানুষদের কষ্ট দেখে বড় ধাক্কা খান কোহলি। তবে সেখানের মানুষরা কোহলিকে খুব খুশি ছিলেন। পরে কোহলি ফাউন্ডেশন ও আবিল ফাউন্ডেশন মিলে অভলমায়ার আর্থিক সমস্যাগুলো সমাধান করেন।

২৫/ একই বছরের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের সময়ে হঠাৎ ব্যথা পাওয়ায় হাতে ৮টি সেলাই দিতে হয়। তবু তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন এবং ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ঠিক পরের ম্যাচে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৫ ওভারের মধ্যেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন। সে আসরে ৪ সেঞ্চুরির সাহায্যে আইপিএল ইতিহাসের রেকর্ড ৯৭৩ রান করেন কোহলি।

২৬/ ২০১৭ সালে টানা চার টেস্ট সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে অনন্য রেকর্ড গড়েন কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ২০১৪ সালের ব্যর্থতাকে মাটি চাপা দিয়ে ২০১৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে জেতেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। একই বছর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার পান তিনি।

২৭/ ক্রীড়াজগতে আইডল হিসেবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথা বলে থাকেন কোহলি। রোনালদোর মতোই নিজের কর্মপরিকল্পনা সাজান তিনি এবং নিজেকে রোনালদোর সঙ্গে মেলাতেও পছন্দ করেন। এছাড়া টেনিস তারকা রজার ফেদেরারের ভক্ত কোহলি। ২০১৫ সালের উইম্বলডন চলাকালীন ফেদেরারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি।

২৮/ একজন যোগীর আত্মজীবনী- এ বইটি পড়েছেন কোহলি। তার ধারণা এ বই পড়ার পর থেকেই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে তার। এমনকি নিজের ভক্ত-সমর্থকদেরও এ বইটি পড়তে পরামর্শ দিয়েছিলেন কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের 'Detox Your Ego' নামের একটি বই পড়তে দেখা গেছে কোহলিকে। সেটি ভারতে প্রচুর বিক্রি হয়।

২৯/ বর্তমানে বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ৫০ গড়ের মালিক তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে ২০ হাজার রান করা ব্যাটসম্যান তিনি। ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এছাড়া ভারতীয়দের পক্ষে দ্রুততম (৫২ বলে) সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানও তিনি।

৩০/ এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় অন্তত একটি হলেও টেস্ট জিতেছেন কোহলি। ভারতের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রান, সেঞ্চুরি এবং জয়ের রেকর্ড তার দখলে।

৩১/ ২০১২ সালের আইপিএলের আগে দিয়ে নিজের শারীরিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আনেন কোহলি এবং ১১ কেজি ওজন কমান। বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিট ক্রিকেটার তিনি। ২০১৮ সালে পুরোপুরি নিরামিষাশী হয়ে গেছেন তিনি। তার মতে, এটি তার খেলায় অনেক সাহায্য করছে।

৩২/ কোনো নির্দিষ্ট দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ হাজারের বেশি রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ২০৯৬৪ রান করেছেন কোহলি।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।