স্যামির জাদুকরী অধিনায়কত্ব, রেকর্ড গড়ে জিতল সেইন্ট লুসিয়া
বোলিংটা এখন করেন কালেভদ্রে, ব্যাটিংটাও ভালো হচ্ছে না বেশ লম্বা সময় ধরে। তবু দলের অন্যতম বড় শক্তি ড্যারেন স্যামি। কেননা তার কার্যকরী অধিনায়কত্ব বদলে যে ম্যাচের দৃশ্যপট। যা তিনি আরও একবার প্রমাণ করলেন চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) ক্রিকেটে।
রোববার রাতে স্যামির জাদুকরী অধিনায়কত্বের বিপরীতে মাত্র ৯৩ রানের লক্ষ্যও তাড়া করতে পারেনি সিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্বাডোজ ট্রাইডেন্ট। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৯২ রানে অলআউট হলেও, দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি স্যামির ক্ষুরধার মস্তিষ্কের সহায়তায় ৩ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে সেইন্ট লুসিয়া জুকস।
বলা বাহুল্য, সিপিএল ইতিহাসে এটিই রেকর্ড। প্রায় আট বছরের সিপিএল অধ্যায়ে এত কম রান করে ম্যাচ জেতেনি আর কোনো দল। যা এবার করে দেখালো স্যামির সেইন্ট লুসিয়া। এমন পরাজয়ের পর টেবিলের পাঁচে নেমে গেছে বার্বাডোজ, দুই নম্বরে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে সেইন্ট লুসিয়া।
ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি স্যামির দল। সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান, তাও কি না ৩১ বল খেলে। এছাড়া লেনিকো বাউচার ২০ বলে ১৮ এবং রস্টোন চেজ করেছেন ১৯ বলে ১৪ রান। আর কেউই পারেননি দুই অঙ্কে যেতে, ১৮ ওভারেই অলআউট হয়েছে সেইন্ট লুসিয়া।
বার্বাডোজের পক্ষে ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন আগের ম্যাচে বেধড়ক পিটুনি হজম করা হেইডেন ওয়ালশ। এছাড়া রেয়মন রেইফারের ঝুলিতে গেছে ২টি উইকেট।
৯৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনওই মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে পারবে না বার্বাডোজ। রানের চাপ নেই তাই দেখেশুনেই খেলছিলেন ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ১০ ওভারে আসে ৩ উইকেটে ৫২ রান, ফলে শেষের ৬০ বলে বাকি থাকে আর ৪১ রান।
কিন্তু স্যামির দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব, কার্যকরী ফিল্ড সেটিং এবং বোলারদের দারুণভাবে ব্যবহারের ফলে শেষের ৬০ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি বার্বাডোজ। একপর্যায়ে জয়ের জন্য ৩০ বলে মাত্র ২২ রান করতে হতো তাদের, হাতে ছিল ৬টি উইকেট। তবু এই ম্যাচ জিততে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
অসাধারণ বোলিং করেছেন স্যামির দলের সবাই। মোহাম্মদ নাবী ৪ ওভারে ১৮ রানে ১, জহির খান ৪ ওভারে ২১ রানে ১, কেসরিক উইলিয়ামস ৩ ওভারে ১২ রানে ২, রস্টোন চেজ ৪ ওভারে ১৪ রানে ১ ও ম্যাচসেরা জ্যাভেল গ্লেন ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।
এসএএস/পিআর