বৃষ্টির আগে ইংলিশ তরুণের ৭১ রানের ঝড়
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পরবর্তী বড় তারকা ভাবা হচ্ছে ২১ বছর বয়সী ডানহাতি ওপেনার টম ব্যান্টনকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উজ্জ্বল ব্যান্টনের ক্যারিয়ারের শুরুর অংশটা। সেই ছাপ তিনি রাখলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি চলে গেছে বৃষ্টির পেটে। প্রকৃতির বাগড়ায় পুরো এক ইনিংসও খেলা সম্ভব হয়নি। স্বাগতিকরা ১৬.১ ওভার ব্যাট করে ১৩১ রান তুলতেই নামে বৃষ্টি, যা আর থামেনি, পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ।
তবে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ব্যান্টন। একাই খেলেছেন ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস, চারটি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন পাঁচটি দর্শনীয় ছক্কা। ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ব্যান্টন।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের অসমাপ্ত ইনিংসটিকে ভাগ করা যায় তিন ভাগে। প্রথম ভাগে ছিল টপঅর্ডারের ব্যর্থতা ও পাকিস্তানি বোলারদের দাপট। দ্বিতীয় ভাগে সেই টপঅর্ডারের ঘুরে দাঁড়ানো আর শেষ ভাগে পুনরায় মুখ থুবড়ে পড়া। যার ফলে ম্যাচজয়ের আশাই দেখছিল পাকিস্তান।
ইনিংসের শুরুতে ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আমিরদের বোলিং তোপে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪০ রান করতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো সাজঘরে ফিরে যান ৪ বলে ২ রান করে। এরপর ছন্দ পেতে বেশ কয়েক ওভার লেগে যায় ব্যান্টনের, একপর্যায়ে তার সংগ্রহ ছিল ১৮ বলে ১৯ রান।
অষ্টম ওভার থেকে ঘুরে দাঁড়ান ব্যান্টন, গতি পায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪০ রান করা ইংল্যান্ড পরের ৫ ওভারে করে ৬৭ রান। ইনিংসের ১২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৭ রান। শুরুর ১৮ বলে ১৯ রান করা ব্যান্টন ফিফটি তুলে নেন মাত্র ৩৩ বলে।
হাফসেঞ্চুরি পূরণের পরেও থামেনি ব্যান্টনের ব্যাট। শাদাব খান ও হারিস রউফদের তুলোধুনো করে খেলেন ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে চড়েই ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। এছাড়া ব্যান্টনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটির সঙ্গী ডেভিড মালান করেন ২৩ রান।
তবে পরের ব্যাটসম্যানরা আর দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। যার ফলে ১২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৭ থেকে চোখের পলকেই ১৬.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩১ রানের দলের পরিণত হয় ইংলিশরা। এরপর বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি ম্যাচের বাকিটুকু শেষ করা।
এসএএস/জেআইএম