সাকিব-কন্যার ছবিতে বাজে মন্তব্য, এবার মুখ খুললেন শিশির

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২০

সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের শিশু কন্যা আলাইনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর তাতে বাজে মন্তব্য করেন কয়েকজন। ওই মন্তব্যগুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সন্দেহ নেই, মন্তব্যগুলো যথেষ্ট আপত্তিকর এবং বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক ছিল। যারা এমন নোংরা মন্তব্য করেছেন, তাদের নিয়ে সমালোচনা হওয়াই স্বাভাবিক। তবে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ব্যাপারটাকে একটু অন্যরকমভাবে দেখছেন।

শিশির মনে করেন, হাজারও ভালো মন্তব্যের মধ্যে কয়েকটা খারাপ মন্তব্য নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। বরং যারা এই খারাপ মন্তব্যগুলো বাছাই করে সামনে নিয়ে এসেছেন, প্রচার করেছেন, তাদেরই বরং বেশি দোষ দেখছেন সাকিবপত্মী।

শুক্রবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাকিবের স্ত্রী শিশির লিখেছেন, ‘কী হচ্ছে, এ নিয়ে আসলে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। পাবলিক ফিগার হিসেবে আমাদের অনেক ভক্ত ও অনুসারী আছে। এর মধ্যে শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমালোচনাকারী দুই-ই আছে। আমরা সব সময় মনোযোগের কেন্দ্রে থাকি, এটা ভালো দিক। বিশ্বের অনেক দেশের তারকারাই এ ধরনের ঘটনার শিকার হন, কিন্তু অন্য দেশের মানুষের প্রতিবাদের নামে হাজারো ভালো মন্তব্যের মধ্যে থেকে ৪-৫টা খারাপ মন্তব্য তুলে এনে প্রচারের সময় নেই।’

শিশির মনে করেন, এই খারাপ মন্তব্যগুলো সামনে নিয়ে এসেই বরং বড় ঘটনা বানানো হয়েছে। কয়েকটি পেজের এডমিন প্রচারের জন্য এমন কাজ করেছেন বলেই ধারণা তার।

সাকিবের স্ত্রীর কথা, ‘পুরো ঘটনাটা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে আসলে হাজারও ভালো মন্তব্যের ভিড়ে করা ৪টা খারাপ মন্তব্য নিয়ে। আমি এসব মন্তব্যকারীদের নিয়ে কিছু বলব না, কারণ ওদের নিয়ে আমি বিরক্ত নই। আমি বিরক্ত কিছু ফেসবুক পেজের এডমিনদের ওপর যারা ওই ৪টি মন্তব্য খুঁজে বের করে যেটা কোনো ঘটনাই নয় সেটাকে বড় ঘটনা বানিয়েছেন। উচ্চপর্যায়ে এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এই ফাঁকে আপনারা নিজেদের পেজের কিছু প্রচার কামিয়ে নেন! এসব আমাদের উদ্দেশ্য কিংবা জীবনযাপনে কোনো পরিবর্তন আনবে না। কারণ এসব তুচ্ছ ব্যাপার আমরা গুরুত্ব দিই না।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।