এবারও ৩২৯, আয়ারল্যান্ডের ইংল্যান্ড বধে কি কাকতালীয় ব্যাপার!
৩২৯, সংখ্যাটাকে বাঁধিয়ে রাখতে পারেন আইরিশ ক্রিকেট সমর্থকরা। এই সংখ্যাটা যে তাদের জন্য ভীষণ পয়া। সামনে ইংল্যান্ডের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নই দাঁড়িয়ে থাকুক না, ৩২৯ ছুঁতে পারলে আর কোনো চিন্তা নেই আয়ারল্যান্ডের!
কথাগুলো বলা, কাকতালীয় এক মিলের কারণে। ইংল্যান্ডের মতো দলকে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দু’বার হারাতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। যার সর্বশেষটি এসেছে গতকাল (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে)।
এই দুই ম্যাচেই বড় রান তাড়া করে জিতেছে আয়ারল্যান্ড এবং কাকতালীয়ভাবে তারা করেছে ৩২৯ রান! শুনতে অবাক লাগছে, তাই না? বিস্ময়কর হলেও তথ্যটা কিন্তু একদম সত্য।
আগে গতকালের ম্যাচ নিয়েই বলা যাক। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩২৮ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এত বড় লক্ষ্যকেও মামুলি বানিয়ে ছেড়েছে আইরিশরা। জিতেছে ৭ উইকেট হাতে রেখেই। সামনে কি ৩২৯ রান ছিল বলেই?
এর আগেও একবার এমন আপসেটের জন্ম দিয়েছিল তারা, সেটা ২০১১ বিশ্বকাপের মঞ্চে। ব্যাঙ্গালুরুতে সে ম্যাচটিতে অবশ্য আয়ারল্যান্ডের সামনে ৩২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে আইরিশরা ম্যাচটি জিতে ৩২৯ তুলেই। কেভিন ও’ব্রায়েনের (৬৩ বলে ১১৩) অসাধ্য সাধনে এত বড় সংগ্রহ সেবার টপকে গিয়েছিল জায়ান্ট কিলাররা।
এবার আয়ারল্যান্ডকে দুর্দান্ত জয়ের ভিত গড়ে দেন পল স্টার্লিং আর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জোড়া সেঞ্চুরিতে দলকে টেনে নিয়ে যান তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ২১৪ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া স্টার্লিং ১৪২ আর বালবির্নি করেন ১১৩ রান।
এই ম্যাচেও অবশ্য জয়ে কিছুটা অবদান ছিল ২০১১ বিশ্বকাপের আইরিশ হিরো কেভিন ও'ব্রায়েনের। ১৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যানের হাত ধরেই এসেছে জয়সূচক রানটি।
এমএমআর/পিআর