সুখবর পেয়েও খুশি নন উমর আকমল
প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিল তিন বছরের। শাস্তির তিন মাস পর আপিল করে এই সাজা অর্ধেক কমিয়ে ফেলেছেন। তাও কি না খুশি নন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমল। নিষেধাজ্ঞা আরও কমিয়ে আনার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চান তিনি।
নিজেদের ঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সেটি গোপন করেছিলেন উমর। তাও একবার নয়, তার কাছে দুইবার এসেছিল প্রস্তাব। তবু সেটি জানাননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। যে কারণে আনুষ্ঠানিক শুনানির পর গত ফেব্রুয়ারিতে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় উমরকে।
শুনানিতে নিজের অপরাধ মেনে নিয়েছিলেন এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানিয়েছিলেন, তখনকার পারিপার্শ্বিকতা এমন ছিল যে, ফিক্সিংয়ের সেই প্রস্তাব রিপোর্ট করার মতো কিছু ছিল না। কিন্তু এ কথায় মন গলেনি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত জজ ফকির মোহাম্মদ খোকার। ফলে তিনি বেশ বড় শাস্তিই দেন।
প্রাথমিকভাবে নিজের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেননি উমর। পরে প্রায় তিন মাস পর শাস্তি কমানোর আপিল করেন, যার রায় এসেছে ২৯ জুলাই। এ রায়টি সুখবর হয়েই এসেছে উমরের জন্য। কেননা সাজার মেয়াদ কমে গিয়েছে দেড় বছর। ফলে ২০২১ সালের আগস্টেই মুক্ত হয়ে যাবেন তিনি।
কিন্তু উমর চাচ্ছেন আরও কমুক এই শাস্তি। আপিলের রায়ের পর উমর বলেছেন, ‘আমার আইনজীবীদের কথা যথাযথভাবে শোনার জন্য মাননীয় বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শাস্তির বাকিটা নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব এবং আরও কমানোর চেষ্টা করব। এখনও আমি সন্তুষ্ট নই এবং আমার আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলব, কীভাবে সামনে এগোতে পারি। আগেও অনেক ক্রিকেটার আমার মতো ভুল করেছে। দেখুন, তারা কতটা শাস্তি পেয়েছে, আমি কতটা। আপাতত সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
২৯ বছর বয়সী উমর আকমল পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের ভাই এবং বর্তমান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের কাজিন। দেশের হয়ে ৫৩টি টেস্ট, ৫৮ টি-টোয়েন্টি আর ১৫৭টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো আকমল টেস্টে ১০০৩, ওয়ানডেতে ৩১৯৪ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৬৯০ রান করেছেন।
টেস্ট অভিষেকেই নিউজিল্যান্ডের মাঠে সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করা উমর আকমলকে পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মনে করা হয়। কিন্তু নানা বিতর্কে ক্যারিয়ার বারবার হুমকির মুখে ফেলেছেন তিনি নিজেই।
এসএএস/এমকেএইচ