সৌরভই থাকছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে!
বেশ কিছুদিন আগেই সচিব পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিসিআই)। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ এখন অফিসিয়ালি আর বিসিসিআইয়ের বোর্ড সচিব নন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের কাছে তার আবেদন ঝুলে আছে। একই নিয়মে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে আর মাত্র এক সপ্তাহ সময় বাকি রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির।
এক সপ্তাহ পর কি হবে তাহলে? কে হবেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, কে হবেন সেক্রেটারি? নাকি ভিন্ন কোনো রাস্তা আছে, যেটা দিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহ টিকে যাবেন পূর্ণ মেয়াদে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনের জন্য!
আপাতত শেষ পথেই হাঁটছে সৌরভ অ্যান্ড কোং। তারা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছেন, যেন লোধা কমিশনের সুপারিশকৃত নিয়ম পাল্টে দেয়া হয়।
লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে একজন ব্যক্তি ক্রিকেট প্রশাসনে একটানা ছয় বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। ছয় বছর দায়িত্ব পালন শেষে অবশ্যই তাকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। এরপর তিনি আবার পরের ছয় বছরের জন্য ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে পারবেন।
সে হিসেবে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) এবং বিসিসিআই মিলিয়ে সৌরভের ছয় বছরের দায়িত্ব পালন শেষ হবে আগামী সপ্তাহেই। জয় শাহের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগে।
লোধা কমিশনের এই সুপারিশ পরিবর্তনের জন্য আগেই সৌরভ এবং জয় শাহের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আজই ছিল সেই আবেদনের শুনানির দিন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য আজই এ ব্যাপারে রায় দেয়নি। আরও দুই সপ্তাহ পর একটি শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গাঙ্গুলি এবং জয় শাহদের আবেদনের শুনানির জন্য যে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। তার সঙ্গে এই বেঞ্চে রয়েছেন এল নাগেশ্বরা রাও। বিসিসিআইয়ের গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সৌরভ এবং জয় শাহ’ই চালিয়ে যাবেন। সেজন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে।
তবে রায় দেয়ার আগেই এক ধরনের জয় পেয়ে যাচ্ছে সৌরভ এবং জয় শাহ। কারণ আইপিএলে স্পট ফিক্সিং মামলার পিটিশনার আদিত্য বার্মা বলেন, তার আইনজীবীরা আদালতে সৌরভ-জয় শাহের আবেদনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন না। অর্থাৎ সৌরভদের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আপত্তি নেই তার।
বিসিসিআই চায় একটানা ছয় বছর পদে থাকুন সৌরভ এবং জয় শাহ। আদিত্য বার্মার তাতেও আপত্তি নেই। তিনি বিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ গাঙ্গুলিকেই দেখতে চান। লোধা কমিশনের প্রস্তাবিত ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ড কার্যকর না হওয়ার পক্ষেই তিনি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বিহারের সচিব আদিত্য বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি যে, বিসিসিআই চালানোর জন্য সৌরভই সেরা ব্যক্তি। আমার বিশ্বাস দাদা ও জয় শাহ বোর্ডকে ঠিকঠাক করার জন্য নিশ্চয়ই পুরো সময় পাবেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাদা কাজ করলে আমার বা বিহার ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই। এই নয় মাসের মধ্যে চার মাস তো করোনাভাইরাসের কারণেই নষ্ট হলো। পরিকল্পনা ও নীতি প্রয়োগের জন্য সব প্রশাসকেরই সময় প্রয়োজন।’
আইএইচএস/এমকেএইচ