এবার ‘সুনাম’ বলে গম্ভীরকে কৌশলে খোঁচা মারলেন আফ্রিদি
সেই ২০০৭ সালে কানপুরে ভারত-পাকিস্তানের ওয়ানডে ম্যাচে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, ১৩ বছর পরও সেই লড়াই চলছে তো চলছেই। ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর আর পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি-একজন যেন আরেকজনের ছায়াও দেখতে পারেন না।
১৩ বছর আগের ম্যাচে কথা কাটাকাটি হয়েছিল আফ্রিদি-গম্ভীরের। ম্যাচ চলার সময় এমন ঘটনা কতই ঘটে! কিন্তু গম্ভীর আর আফ্রিদি বিষয়টাকে নিয়ে গেছেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। খেলার বাইরে এসেও একে অপরকে আক্রমণ করেই চলেছেন।
এবার আফ্রিদি যেন একটু অন্যরকম কৌশলে খোঁচা দিলেন। বললেন, তিনি সবসময়ই গৌতম গম্ভীরের ব্যাটিং পছন্দ করতেন। তবে তার সঙ্গে যা জুড়ে দিলেন, ভারতের সাবেক ওপেনারের রাগ তাতে পরবে তো না, উল্টো বাড়বে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক জয়নব আব্বাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি তাকে (গম্ভীর) সবসময়ই পছন্দ করি। কিন্তু মানুষ হিসেবে, সে মাঝেমধ্যে কিছু কথা বলে, কিছু আচরণ দেখায়; যা দেখার পর মনে হবে, আসলে কি বলব- তার কিছু সমস্যা আছে। তার ফিজিও ইতিমধ্যে সে বিষয়টি নিয়ে বলেছেও।’
আফ্রিদি মূলত ভারতীয় দলের সাবেক ফিজিও প্যাডি আপটনের লেখা এক বইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এমন কথা তুলেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলে মেন্টাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করেছেন আপটন। তিনি গম্ভীরকে ‘সবচেয়ে দুর্বল এবং আত্মবিশ্বাসহীন মানসিকতার খেলোয়াড়’ বলেছেন।
আউট হওয়ার পর, এমনকি সেঞ্চুরি করে ফিরলেও সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়তেন গম্ভীর। আপটন তার বইয়ে লিখেছেন, ‘মানসিক দৃঢ়তার জনপ্রিয় ধারণার কথা বলতে গেলে, সে (গম্ভীর) ছিল আমার সঙ্গে কাজ করা সবচেয়ে দুর্বল এবং মানসিকভাবে সর্বাধিক নিরাপত্তাহীন ব্যক্তি।’
আপটনের এমন মন্তব্যের জবাবে গম্ভীর বলেন, ‘আমি সবসময়ই নিজেকে এবং ভারতীয় দলকে বিশ্বের সেরা হিসেবে দেখতে চেয়েছি। এজন্য ১০০ করার পরও সন্তুষ্ট থাকিনি। প্যাডি তার বইয়ে সে কথাই লিখেছে। আমি এখানে খারাপ কিছু তো দেখছি না।’
এর আগে, আফ্রিদি তার আত্মজীবনীতে গম্ভীরের আচরণগত সমস্যার বিষয়টি তুলে এনেছিলেন। জবাবে তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন গম্ভীর। সাবেক দুই ক্রিকেটারের মধ্যে এরপর থেকে লড়াই চলছেই।
এমএমআর/পিআর