ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘সত্যিকারের কিংবদন্তি’ বেছে নিলেন ওয়ালশ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ০৭ জুলাই ২০২০

প্রায় ২৬ বছর আগে ১৯৯৪ সালের গায়ানা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবশেষ বোলার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলকে নাম লেখান কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস। তার আগে আরও সাত ক্যারিবীয় বোলার নিয়েছেন ২০০ টেস্ট উইকেট। কিন্তু পরে নিতে পারেননি আর কোন বোলার।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে এ মাইলফলকের খুব কাছে ডানহাতি পেসার কেমার রোচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে রোচের উইকেটসংখ্যা ১৯৩। এ সিরিজে মাত্র ৭ উইকেট পেলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের নবম বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেটের মালিক হবেন বার্বাডোজের ৩২ বছর বয়সী এ পেসার।

দুইশ উইকেটের দোরগোড়ায় থাকা কেমার রোচকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘সত্যিকারের কিংবদন্তি’ মনে করছেন দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী কোর্টনি ওয়ালশ। তার মতে, ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট ভালোভাবে করতে পারলে খুব শীঘ্রই টেস্টে ৩০০ উইকেটের ঘরে প্রবেশ করবেন রোচ।

আগামীকাল (বুধবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজের আগে ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ালশ বলেছেন, ‘অসাধারণ মাইলফলক। দুইশ উইকেটের ঘরে আরও একজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানকে পাওয়ার অনুভূতি দুর্দান্ত। রোচ সবসময়ই আমার ভালো বন্ধু। আমি তার জন্য খুবই খুশি। এ মাইলফলকটি পূরণ হওয়ার অপেক্ষার তর সইছে না। আশা করি প্রথম ম্যাচেই সে এটি করে ফেলবে এবং বাকি সিরিজ নিজের মতো উপভোগ করবে।’

গত ২০১৭ সাল থেকেই ইংল্যান্ডের পথের সবচেয়ে বড় কাঁটা কেমার রোচই। ইংল্যান্ডে হওয়া সিরিজের লর্ডস টেস্টে নিয়েছিলেন ফাইফার। পরে নিজেদের দেশে ইংলিশদের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর সময়ও ছিলেন অন্যতম সেরা পারফরমার। ওয়ালশের মতে, রোচকে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার জন্য অন্য বোলারদের এগিয়ে আসতে হবে।

ক্যারিবীয়দের হয়ে টেস্টে ৫১৯ উইকেট নেয়া ওয়ালশ বলেছেন, ‘ওর (রোচ) আসলে এমন একজন দরকার, যেমন আমার বেলায় ছিল কার্টলি অ্যামব্রোস। ওরও এমন একজন দরকার যে কি না চাপমুক্ত রাখতে পারবে এবং ভিন্ন কিছু ভাবার সুযোগ করে দেবে। রোচের এমন অর্জনে খুব বেশি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান নেই। সে দারুণ এক মাইলফলকে পৌঁছতে যাচ্ছে।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।