নিজের গায়ের রঙ নিয়ে আমি গর্বিত : স্যামি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ১২ জুন ২০২০

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ তুলে অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তার অভিযোগ, আইপিএলে কালু বলতে ডাকা হতো তাকে।

স্যামির এমন দাবির সত্যতাও মিলেছে তার আইপিএল সতীর্থ ইশান্ত শর্মার এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন স্যামি। ২০১৪ সালে ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে স্যামির নাম হিসেবে কালু লিখেছিলেন ইশান্ত।

তবে স্যামি নির্দিষ্ট করে ইশান্তের পোস্টের কথা বলেননি। নিজের অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কারও নাম খোলাসা করেননি এ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। দলীয় সুত্রে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন সবার সঙ্গে, চেষ্টা করছেন এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছার জন্য।

অভিযোগের বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। এতদিনেও কি স্যামির কাছে ক্ষমা চায়নি বর্ণবাদী আচরণ করা মানুষেরা? জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর পক্ষ থেকে রাখা হয়েছিল এমন প্রশ্ন। স্যামি দিয়েছেন না বোধক উত্তর। তবে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া না চাওয়া বড় নয়। কেননা নিজের গায়ের রঙ নিয়ে গর্বিত স্যামি।

তিনি বলেছেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে কিছু একটা দেখছি, আপনি আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এর অন্য পাশটা দেখছেন। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু মিলবে না। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করতে চাই। আপনি হয়তো কী সুন্দর চকলেট কালারের পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিজের চামড়ার রঙ নিয়ে খুব ভালো আছি।’

স্যামি আরও যোগ করেন, ‘অন্য কেউ আমাকে মানসিকভাবে ছোট করবে, সেই সুযোগ আমি দেই না। আমি আমার গায়ের রঙ নিয়ে গর্বিত। তাই আমার কাছে ক্ষমা চাক বা না চাক, এতে একটা বিষয় বদলাবে না যে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় আমি কতটা গর্বিত। এটা কখনও বদলাবে না।’

ক্যারিবীয় অধিনায়ক আরও জানান, কাউকে ক্ষমা চাওয়ানোর জন্য তিনি এ প্রসঙ্গ আনেননি। বরং সবাই যেন এ বিষয়ে সচেতন হয় এটিই স্যামির মূল লক্ষ্য। যাতে করে সামনে আর কোন মানুষই বর্ণবাদী আচরণের শিকার না হয়। সবার জন্য সম-অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে চান স্যামি।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।