এখন পর্যন্ত কেউ ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য অনুমতি চায়নি : আকরাম খান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ১১ জুন ২০২০

আকরাম খানের কথায়ই মিলেছিল ইঙ্গিত। বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান তিন দিন আগে জাগো নিউজের সাথে আলাপে বলেছিলেন, ‘সত্যি বলতে এখন দেশের বিশেষ করে করোনার যে ভয়াবহ অবস্থা, এর ভেতরে একা হোক আর শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়া অনুশীলন করুক না কেন, সব কিছুতেই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। আমরা সে কারণেই এখনকার প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটারদের একা স্টেডিয়ামে গিয়ে প্র্যাকটিস করাটা সেভাবে উৎসাহিত করছি না।’

‘তারপরও যদি কেউ একান্তই প্র্যাকটিস করতে চায়, তাকে যতটুকু সম্ভব লজিস্টিক হেল্প করা হবে। যাতে তারা নিজ নিজ অনুশীলনটা করতে পারে, সেজন্য আমাদের যে সাপোর্ট দরকার সেটা দেয়া হবে। তবে নীতিগতভাবে আমরা তাদের এখন ঘরের বাইরে স্টেডিয়ামে গিয়ে অনুশীলন করাকে নিরুৎসাহিত করছি।’

জাতীয় দলের পরিচর্যা ও পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধানের সে কথার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। ঘুরিয়ে বললে কেউ অনুশীলন করতে স্টেডিয়ামে আসেননিও। এখন পর্যন্ত শেরে বাংলা স্টেডিয়াম কিংবা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কেনো ক্রিকেটারের একা একা অনুশীলনের খবর পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাগো নিউজের সাথে আলাপে আকরাম খান বলেন, ‘আমার জানমতে কোনো ক্রিকেটারই মাঠে যায়নি অনুশীলন করতে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মুশফিকুর রহীম ছিলেন একা একা অনুশীলন করায় সবচেয়ে উৎসাহী। সেই ঈদের আগেই একা অনুশীলনের অনুমতি চেয়েছিলেন বোর্ডের কাছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বিসিবি তখন সে অনুমতি দেয়নি।

ঈদের পর আবার ব্যক্তিগতভাবে মাঠে ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি স্কিল ট্রেনিং করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। তিনি একা নন। বোর্ড থেকে জানানো হয়েছিল, আরও কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের শারীরিক সক্ষমতা ঠিক রাখার পাশাপাশি ক্রিকেটীয় স্কিলগুলোও ঝালাই করতে উদ্যমী হয়েছেন।

আর বলার অপেক্ষা রাখে না, সেগুলো স্টেডিয়ামে না গিয়ে ঘরে বসে করা সম্ভব নয়। তাই জিমওয়ার্ক, রানিং, ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাাশি স্কিল ট্রেনিং করার জন্য রাজধানীর মিরপুরের শেরে বাংলা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি চান কয়েকজন ক্রিকেটার।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রিকেটারদের শুরুতে ‘না’ করে দিয়েছিল বোর্ড। তবে দিন কয়েক আগে বিসিবি পরিচালক ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান এবং বোর্ড সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিস করার ইচ্ছে পূরণ করতে যাচ্ছেন তারাও। নিয়ম মেনে শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়া সর্বোচ্চ একজন সঙ্গী নিয়ে ব্যাটিং ও বোলিং অনুশীলন করতে পারবে ক্রিকেটাররা।

বোর্ড কর্তাদের সে কথার পর তোড়জোড় দেখে মনে হচ্ছিল, কয়েক দিনের মধ্যে মিরপুর শেরে বাংলা, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ক্রিকেটারদের কলতানে মুখর হয়ে উঠবে। শারীরিক সংস্পর্শে না এসে একা একা অনুশীলন করবেন মুশফিকরা।

কিন্তু করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে সবাই আরও বেশি শঙ্কিত, আতঙ্কিত। এ অবস্থায় কেউই বাড়ির বাইরে যেতে আগ্রহী নন। তাই ধরেই নেয়া যায়, যত রকম পরিকল্পনা আর শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়া অনুশীলনের কথাই শোনা যাক না কেন, আপাতত কোন ক্রিকেটারের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই।

এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।