পর্নো ভিডিওতে লাইক, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়লেন ওয়াকার

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২৯ মে ২০২০

পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব একটা সময় দেন না। তবু ভেবেছিলেন সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে, তাই টুইটারে নিজের প্রোফাইল খুলে রেখেছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীদের কারণে সেটিও ছাড়তে হলো তাকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ওয়াকারের টুইটার প্রোফাইলের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। যেখানে দেখা যায় গতবছরের মার্চে একটি পর্নো ভিডিওতে লাইক দিয়ে রেখেছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে আলোড়ন তোলে এই স্ক্রিনশট।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সত্যিই পর্নো ভিডিওতে লাইক দেয়া রয়েছে ওয়াকারের। এত বড় একজন সেলিব্রেটি হয়েও এমন কাজ করায় ওয়াকারের মুন্ডুপাত করতে থাকেন সমালোচকরা। শুরুতেই কিছুই বুঝতে পারছিলেন না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।

পরে টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইক সরিয়েছেন ওয়াকার এবং জানিয়েছেন এসব কাজ নিশ্চয়ই কোন হ্যাকারের। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ৩-৪ বার তার প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াকার। তাই রাগে-ক্ষোভে সোশ্যাল মিডিয়ার সব প্রোফাইল ডিলিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আজ (শুক্রবার) সকালে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ওয়াকার। তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাকে খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, কেউ একজন আমার একাউন্ট হ্যাক করেছিল এবং আপত্তিকর ভিডিওতে লাইক দিয়েছিল। এটা সত্যিই লজ্জার ব্যাপার। খুবই অপ্রীতিকর একটি বিষয়। আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই বাজে একটা ব্যাপার হলো।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ভাবতাম সোশ্যাল মিডিয়া অথবা টুইটার হয়তো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার একটা মাধ্যম। কিন্তু সেই ব্যক্তি (হ্যাকার) সবকিছু বরবাদ করে দিল। এবারই প্রথম নয়, এরই মধ্যে ৩-৪ বার আমার একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এই মানুষটা (হ্যাকার) হয়তো কোনদিনই থামবে না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকের পর আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আসব না। আমি আমার পরিবারকে অনেক ভালোবাসি। আপনারা আমাকে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবেন না। কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।