বাংলাদেশ দলের ‘প্রধানমন্ত্রী’ মাশরাফি

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ২৫ মে ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদ্য সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অনেকে ডাকেন অনেক নামে। কেউ বলেন গুরু, কেউ পাগলা, কেউ কৌশিক, তামিম আবার এই কয়েকদিন আগেই বারবার বললেন ‘জ্বীন’।

সেই তামিমই এবার মাশরাফির জন্য আনলেন নতুন এক খেতাব, তাও কোন যেনতেন কিছু নয়। সরাসরি বাংলাদেশ দলের প্রধানমন্ত্রীই বলে দিয়েছেন মাশরাফিকে। দেশবরেণ্য ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সঙ্গে লাইভে এ কথা জানিয়েছেন তামিম।

আলোচনাটা শুরু হয়েছিল জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ডাকনাম নিয়ে। বিশেষ করে মুশফিকুর রহীম, ইমরুল কায়েসদের মজার মজার সব ডাকনামের দিকেই ইঙ্গিত করছিলেন সঞ্চালক নোমান মোহাম্মদ। জানতে চেয়েছিলেন, দলের ভেতরে তামিম বা আর কার কার এমন ডাকনাম রয়েছে।

এর জবাবে বেশ বিশদভাবে বুঝিয়ে বলেন তামিম, ‘ড্রেসিংরুমে আমার কোন ডাকনাম নেই সত্যি বলতে। মাশরাফি ভাই শুধু খানসাহেব বলেন মাঝেমাঝে। এটাই অনেকে বলেন। এর বাইরে আমার কোন ডাকনাম নেই।’

এছাড়া বাকিদের যতো মজার মজার ডাকনাম সেগুলো সব মাশরাফির দেয়া এবং মাশরাফি একাই ডাকেন সেসব নামে- এ কথাও জানালেন তামিম। তবে বাকিরা আবার একেকজনকে একেক নামে ডেকে থাকেন।

তামিমের ভাষ্য, ‘মুশফিকের ক্ষেত্রে মাশরাফি ভাই যেসব নাম (বান্টুদা, বাইন্টা) বলেছেন, ওগুলা কিন্তু শুধু মাশরাফি ভাই একাই ডাকেন। অন্য কেউ বলে না। আমরা সবাই মুশী ডাকি। ওর ডাকনাম বললে এই মুশীই আসবে। মাশরাফি ভাই কী কী আজব আজব নাম বলে, এগুলো শুধু উনার মুখ থেকেই বের হওয়া সম্ভব।’

কিন্তু মাশরাফি এমনটা বলেন, তাকে কেউ কিছু বলেন না? তখনই মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করে তামিম বলেন, ‘কাউকে কিছু বলতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কি কোন লাইসেন্স লাগে? আমাদের দলের প্রধানমন্ত্রীও উনি (মাশরাফি)। উনার যা মন চায় তাই বলতে পারেন।’

এসময় দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজনের ডাকনামের কথাও জানান তামিম, ‘রুবেল যখন প্রথম জাতীয় দলে আসলো, তখন আমরা ওকে মালি ডাকতাম। কারণ মালিঙ্গার মতো অ্যাকশন। মুমিনুলকে ডন বলে ডাকতেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ডন ব্র্যাডম্যান থেকে ডন। আমরাও অনেকসময় ডন ডন বলতাম।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।