সৌরভ গাঙ্গুলির ফোনের অপেক্ষায় মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন তামিম
অপেক্ষা যে কারো জন্যই বিব্রতকর। সেটা যদি হয় কারও ফোনের আশায় বসে থাকা, তবে তার চেয়ে বিড়ম্বনার আর কি হতে পারে?
শুনলে অবাক হবেন, ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির একটি ফোন কলের অপেক্ষায় নির্ঘুম রাত কেটেছে বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবালের! ভাবছেন সেটি আবার কেন, তাই না? সৌরভের ওই ফোনের ওপরই যে নির্ভর করছিল তামিম ইকবালের খেলা না খেলা। ঘটনা আইপিএলের।
২০১২ সালে একবার আইপিএলে ডাক পেয়েছিলেন তামিম। পুনে ওয়ারিয়র্স কিনেছিল টাইগার ওপেনারকে। যে দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তামিম আশায় ছিলেন তাকে খেলানো হবে। সে কারণেই রাত জেগে বসেছিলেন সৌরভের ফোনের অপেক্ষায়।
গতকাল শুক্রবার ফেসবুক লাইভে রোহিত শর্মার সাথে আলাপে সৌরভ গাঙ্গুলির ফোনের সে প্রসঙ্গ টেনে আনেন তামিম। ভারতীয় ওপেনারকে সেই গল্পটা বলেছিলেন তিনি।
তামিমকে খেলানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন সৌরভই। তিনি টাইগার ওপেনারকে বলেছিলেন, কালকের ম্যাচে তোমাকে খেলানোর কথা ভাবছি। তবে তোমাকে খেলানো হবে কি হবে না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে তোমাকে যদি সত্যি খেলানো হয়, তাহলে আমি রাতে ফোন করে জানিয়ে দিব।
সৌরভের এমন কথায় ফোনের আশায় রাত জেগেছিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আশায় বুক বেঁধেছিলাম, ফোন আসবে। আমাকে খেলানোর কথা বলেছিলেন তো! আমি রাত জেগে অপেক্ষা করছি তো করছিই, কখন আসবে ফোন অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কখন যে রাত ১টা বেজে গেছে, টেরই পাইনি। সে অপেক্ষার প্রহর আর কাটেনি। শেষ পর্যন্ত ঐ আসরে আমি একটি ম্যাচেও সুযোগ পাইনি।’
তবে তামিম শেষ করেন এভাবে যে, ‘আমি কোন খেলায় সুযোগ না পেলেও ঐ বার আইপিএল খেলতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটাও ছিল বেশ। আমি উপভোগ করেছি। শিখেছিও।’
তামিমের কথা শুনে রোহিত শর্মা সান্ত্বনার পরশ বুুলিয়ে দেন এই বলে, ‘আসলে এটাই আইপিএলের বৈশিষ্ট্য। বছরের ১০ মাস আমরা একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকি। আইপিলের দুই মাস আমরা একজন আরেকজনের সঙ্গী হই। একসাখে খেলি। একটা বন্ধন তৈরি হয়। একজন আরেকজনের সম্পর্কে জানতে পারে।’
এআরবি/এমএমআর/পিআর