‘জ্বীন’ হয়েই খুশি শফিউল
‘ফিজিও আমাদের সবার থেকে কোক দূরে রাখে, আর ওরে বলে কোক খাও’- সপ্তাহখানেক আগে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে ফেসবুক লাইভে সতীর্থ পেসার শফিউল ইসলামের ব্যাপারে এ কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল।
তিনি তখন শফিউল জ্বীন আখ্যা দিয়ে আরও বলেন, ‘ও (শফিউল) একটা জ্বীন। আমার কাছে ওরে জ্বীনই মনে হয়। যদি আপনি তিন বেলা বিরিয়ানি খাওয়ান, ও টানা একবছর খেতে পারবে। কিন্তু তাতেও ওর শরীরে কোনো পরিবর্তন আসবে না। ওর যা মনে ইচ্ছা হয় ও তাই খায়। কোক খায়, বিরিয়ানি খায়, সব খায়।’
ফিটনেস ধরে রাখতে জাতীয় দলের সবাই যখন দিনরাত ঘাম ঝরান জিমে, আমূল পরিবর্তন আনেন খাদ্যাভ্যাসে; তখন শফিউল ঠিক এর বিপরীত। যখন যা খুশি খান এবং জিমে অল্প সময় দিলেও ফিটনেস নিয়ে আর ভাবতে হয় না তাকে।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায়ই একই রয়েছে শফিউলের শারীরিক গড়ন। ছিপছিপে শরীরে পেস বোলিং করার সময় মনে হয় যেন, বাতাসে ভেসে আসছেন তিনি। এতে অবশ্য শফিউলের নিজের কোন সমস্যা নেই। তামিমদের ভাষায়, জ্বীন হয়েও যদি ফিটনেস ঠিক রাখা যায়, এতেও খুশি ডানহাতি এ পেসার।
শুক্রবার রাতে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে এক ফেসবুক লাইভে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা (জ্বীন) সবাই বলে আরকি, তামিম ভাইরা বলে। বাইরে গেলে আমি বেশিরভাগ সময় বিরিয়ানি খাই, খুব পছন্দের খাবার। কিন্তু আমার শরীরের কিছুই হয় না। সবাই আশ্চর্য্য হয়ে যায়; আমরা খেলেই মোটা হয়ে যাই, কিন্তু ওর কিছু হয় না কেন?’
শফিউল জানান, এটা তার জন্ম থেকেই হয়ে আসছে বলতে গেলে। কখনও ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি তাকে। ঘরে থাকা হোক কিংবা বাইরে, ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হোক কিংবা বন্ধ রাখা হোক; ওজনের তারতম্য খুব বেশি হয় না কখনও। এটিকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন ৩০ বছর বয়সী এ পেসার।
তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই এরকম। যখন অনুশীলনে থাকি তখন আমার ওজন যেমন থাকে, বাসায় বসে থাকলেও আমার ওজন প্রায় একই থাকে। হয়তো এক-দুই কেজি ওঠানামা করে। বেশি বাড়েও না, কমেও না। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি এ দিক দিয়ে। কেননা যখন আমি মাঠে ফিরি তখন আমার কষ্টটা একটু হলেও কম করা লাগে। ফিটনেস ধরে রাখা সহজ হয়। আমি এটা নিয়ে খুব খুশি।’
এসএএস/এমএস