‘ধোনিকে আজও জিজ্ঞেস করা হয়নি সেঞ্চুরির পর কেন বাদ পড়েছিলাম’
ভারতকে দুইটি বিশ্বকাপ জেতানো একমাত্র অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার হাত ধরে ভারতের কত সাফল্যই না এসেছে। অধিনায়ক হিসেবে দলে তার প্রভাবটা তাই ছিল অনেক বেশি।
তবে সাফল্য যেমন এসেছে, তেমনি স্বেচ্ছাচারের অভিযোগও আছে ধোনির বিরুদ্ধে। যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটারও অভিযোগ করেছেন, ধোনি তার পছন্দের কয়েকজনকে দলে নেয়ার চেষ্টা করতেন।
আসলেই কি তাই? ভেতরের যে সব খবর বেরিয়ে আসে তাতে পরিষ্কার, অনেকের মনেই ধোনির ব্যাপারে অসন্তোষ ছিল, হয়তো এখনও আছে। ক্যারিয়ার বড় করতে না পারা বাঙালি ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিরও এমন কিছু কষ্ট জমে আছে বুকে। সম্প্রতি ফ্যানকোড অ্যাপে এক সাক্ষাতকারে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা কথা বলেন তিনি।
ভারতের হয়ে ২০০৮ সালে অভিষেক হয়েছিল মনোজ তিওয়ারির। ৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ১২টি ওয়ানডে আর ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ মেলে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মনোজ। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে সেদিন ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর প্রায় আট মাস জায়গা পাননি দলে।
কেন তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছিল, সে প্রশ্নের জবাব এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি, দেশের হয়ে সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হওয়ার পরও ১৪ ম্যাচ একাদশে জায়গা পাব না। তবে আমি অধিনায়ক, কোচ কিংবা ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্তে সম্মান করি। কেননা তাদের হয়তো অন্য কোনো পরিকল্পনা ছিল, তারা হয়তো অন্যরকম ভেবেছিলেন।’
সে সময় ধোনিই ছিলেন সর্বেসর্বা, দলের অধিনায়ক। মনোজ তিওয়ারির কখনও তার মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন করার মতো সাহস হয়নি। কেননা সিনিয়রদের সম্মান করতেন ভীষণ।
‘বাংলার ছোট দাদা’খ্যাত এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি কখনও আমাদের সে সময়ের অধিনায়ক ধোনিকে জিজ্ঞেস করার সুযোগ পাইনি। বলতে পারেন সাহস করিনি। কেননা আমরা সিনিয়রদের খুব সম্মান করি। আমরা অনেক কিছুই প্রশ্ন করতাম না। তাই এখন পর্যন্ত আমি তাকে প্রশ্ন করিনি।’
মনোজ তিওয়ারি আইপিএলে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টে খেলার সময়ও সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ধোনিকে। সে সময় তার মনে হতো, ধোনিকে প্রশ্নটা করবেন। কিন্তু তাতেও নিজের মনকে বাধ দেন।
এমএমআর/পিআর