লিটনের মুখে এমন কথা শুনতে ভালো লাগে : ম্যাকেঞ্জি
পাঁচ বছরের ক্যারিয়ার। কিন্তু বরাবরই ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছিল। একটা সময় তো দল থেকে ছিটকে পড়ার অবস্থাই হয়েছিল। সেই লিটন দাস এখন অনেক পরিণত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অটোমেটিক চয়েজ।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজটা বলতে গেলে ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছে লিটনের। আগে যেমন মাঠে নেমেই তেড়েফুরে মারতে যেতেন, এই সিরিজে এমনটা দেখা যায়নি। ভীষণ পরিণত লিটন তার মানসিকতা পরিবর্তনের ফলও পেয়েছেন হাতে নাতে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে বেরিয়ে আসে হার না মানা ১২৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ রানে ফিরলেও তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রায় ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। দেশের ওয়ানডে ইতিহাসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন।
সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ঢাকায় একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৯ আর দ্বিতীয়টিতে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস আসে লিটনের ব্যাট থেকে।
গত পাঁচ বছরে পারেননি। হঠাৎ কোন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় এভাবে বদলে গেলেন লিটন? জাতীয় দলের তারকা এই ওপেনার জানান, আগের মতো মাঠে নেমেই শট খেলার প্রবণতা তার কমেছে। কিছু কিছু জায়গায় লাগাম টেনেই সাফল্য পাচ্ছেন।
শিষ্যের এমন পরিবর্তন নিয়ে কি ভাবছেন দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি? ‘ক্রিকইনফো’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে টাইগার কোচ বলেন, ‘তার (লিটন) মুখে এমন কথা শুনতে ভালো লাগে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা তরুণদের জন্য কঠিন জায়গা। পাঁচ বছর হয়তো অনেক সময়। কিন্তু যে দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছে, তার জন্য নয়। লিটন নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। ধারাবাহিকতার সঙ্গে পরিপক্কতাও এসেছে। তবে সত্যিই আমি জানি না কোনটা আগে এসেছে।’
লিটনের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় যে নিজের সামর্থ্যটা বুঝতে শিখেছেন, সেটিই তৃপ্তি দিচ্ছে ম্যাকেঞ্জিকে। তিনি বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে সে বুঝতে পেরেছে কি করতে হবে। সে দলে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জানে। সে খুবই প্রতিভাবান আর বিচক্ষণ খেলোয়াড়। শট খেলতে খুব পছন্দ করে। তবে সবসময় আপনি সব শট খেলতে পারবেন না। আপনাকে শট নির্বাচনে চতুর হতে হবে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাই হলো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়া, একেক জায়গায় একেক খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলার পরিবর্তন। মনে হচ্ছে সে তার খেলায় তেমন কিছু খুঁজে পেয়েছে।’
এমএমআর/এমকেএইচ