জাভেদ ওমরের ব্যাপারে আইসিসি কোন অভিযোগ করেনি : বিসিবি সিইও
করোনা মহামারির ভেতরেই হঠাৎ একটি সংবাদ ক্রিকেট অনুরাগিদের নজর কেড়েছে। তা হলো, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমরকে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের ম্যানেজার বা কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব না দিতে বিসিবিকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এ বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া নারী বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসরে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার ছিলেন জাভেদ ওমর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ঐ নারী বিশ্ব টি টোয়েন্টি আসরে জাভেদ ওমরের আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে আইসিসির।
তাই তারা বিসিবিকে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে জাভেদ ওমরকে যেন আর ক্রিকেট ম্যানেজার বা টিম সংশ্লিষ্ট কোন দায়িত্ব না দেয়া হয়। ঐ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর করোনা শঙ্কার মাঝেও ক্রিকেট পাড়ায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ প্রাসঙ্গিক ও কৌতূহলি প্রশ্নেরও উদ্রেক ঘটেছে।
সবার জিজ্ঞাসা, আসল ঘটনা কী? হঠাৎ কী করলেন জাভেদ ওমর যে আইসিসির কাছে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলো, তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোন দায়িত্ব অর্পন করতে নিষেধ করা হলো?
বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ ও যথার্থ ব্যাখ্যা যার সবচেয়ে ভাল দেয়ার কথা, সেই বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানালেন ভিন্ন কথা। আজ (মঙ্গলবার) মধ্যাহ্নে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
কিন্তু খবরটি তো মিডিয়ায় এসেছে বোর্ডেরই এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার মাধ্যমে। তাহলে তিনি কি মনগড়া বা মিথ্যে কথা বললেন? নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের জবাব, ‘সেটা আমি জানি না ঐ খবরের সূত্র কী বা কোথায়?’
‘তবে মূল কথা হলো, বিসিবির প্রধান নির্বাহী হওয়ার কারণে আইসিসির কোন নির্দেশ, নিষেধাজ্ঞা বা পরামর্শ- আমার কাছেই আসার কথা। কখনও কখনও বোর্ড প্রেসিডেন্টের (নাজমুল হাসান পাপন) কাছেও আসে। যদি তাই আসত, তাহলেও আমি জানতাম। বোর্ড সভাপতির কাছে আইসিসির কোন নির্দেশাবলী আসলে আমাকে তিনি বলতেন, আমাকে জানাতেন। কিন্তু তিনিও কিছু বলেননি। কাজেই আমরা মানে বিসিবি এখনও পর্যন্ত আইসিসির কাছ থেকে এমন কোন নির্দেশনা পাইনি।’
নিজামউদ্দীন সুজনের শেষ কথা হলো, ‘আইসিসি থেকে সত্যি অমন কোন পরামর্শ বা নির্দেশনা দিলে ব্যাপারটি অবশ্যই বিশেষ বিবেচনায় আনা হতো। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা থেকে আমরা অমন কোন নির্দেশ পাইনি, তাই আচরণ সন্দেহজনক ও নিষেধাজ্ঞার খবরে তার (জাভেদ ওমর) ব্যক্তি ও সামাজিক জীবন অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।’
এআরবি/এসএএস/এমএস