ম্যাচ ফিক্সিংকে অপরাধ গণ্য করে আইন চান সেই রশিদ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশের মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে ভিলেন চরিত্র পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফের। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে মাটি থেকে বল তুলে ক্যাচের আবেদন করেছিলেন রশিদ। আম্পায়ারও সাড়া দেন তাতে।

ফলে আউট হয়ে যান অলক কাপালি। সেই ম্যাচে ১ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। রশিদ লতিফের এই জোচ্চুরির সঙ্গে আম্পায়ার অশোক ডি সিলভার কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই মূলত ম্যাচটিতে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেদিনের পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের চোখে ভিলেনই হয়ে আছেন রশিদ।

সেই রশিদ এবার কড়াকড়ি অবস্থান নিয়েছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং প্রায় নিত্য নিয়মিত ঘটনা। শুধু তাই নয়, ফিক্সারদের পুনরায় ক্রিকেটে ফেরানোর ক্ষেত্রেও জুরি নেই পাকিস্তানের। এমনটা মোটেও মানতে পারছেন না সাবেক উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক রশিদ।

তার মতে ম্যাচ ফিক্সিংকে অন্যান্য সব অপরাধের মতোই গণ্য করা উচিৎ এবং এর বিপরীতে আইন প্রণয়ন করা উচিৎ। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ ফিক্সিংকে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। ইংল্যান্ডে এটিকে গণ্য করা হয় ঘুষগ্রহণের সমান দোষ হিসেবে।

আইসিসির করা বর্তমান আইনের সংশোধনী চেয়ে রশিদ বলেন, ‘আইসিসি নিয়ম বানিয়ে দিয়েছে, সেসব নিয়ম সব ক্রিকেট বোর্ড অনুসরণ করে। তবে এসব আইনে দুর্নীতিগ্রস্থ ক্রিকেটারদের আবার ফেরার সুযোগ করে দেয়। আমি বলবো, এসব খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে দেয়া উচিৎ নয়। তাদের সর্বোচ্চ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে দেয়া হোক, যাতে রুটি-রুজি ঠিক থাকে।’

এসময় অন্তত পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য হলেও আলাদা আইন করার পরামর্শ দেন রশিদ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে ফিক্সিংকে পুলিশি মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদেরও সংসদের মাধ্যমে এটিকে দেশের একটি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ। এর সংযুক্তি হিসেবে খেলোয়াড়দের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা উচিৎ।’

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।