শোয়েবকে ‘টারজান’ বলে নিজের স্টাম্প হারিয়েছিলেন ফ্লিনটফ
২০০৭ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে যুবরাজ সিংয়ের মারা ওভারে ছয় ছক্কার কথা মনে আছে? স্টুয়ার্ট ব্রডের ৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ১২ বলেই পূরণ করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি, মাত্র ১৪ বলে করেছিলেন ৫৮ রান।
সেদিন যুবরাজকে ক্ষেপিয়ে তোলার পেছনে কিন্তু ব্রডের কোন হাত নেই। বরং পেস বোলিং অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ টানা স্লেজিং করে মেজাজ গরম করে দিয়েছিলেন যুবরাজের। যার খেসারত দিতে হয় বেচারা ব্রডকে, ছয় ছক্কা।
ফ্লিনটফের এমন প্রতিপক্ষের মাথা গরম করে খেসারত দেয়া ঘটনা সেটিই প্রথম নয়। নিজে যেমন স্লেজিং করে বধ করেছেন প্রতিপক্ষকে, তেমনি শিকারও হয়েছেন প্রতিপক্ষের আগুনে পারফরম্যান্সের। যেমনটা হয়েছিল ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচে।
পাকিস্তানের গতিদানব শোয়েব আখতারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে তাকে ‘টারজান’ বলে ত্রল করেন ফ্লিনটফ। যা একদমই ভালোভাবে নেননি শোয়েব। দুই বল পরই সোজা উড়িয়ে দেন ফ্লিনটফের অফস্টাম্প।
প্রায় দেড় দশক পর এসে সেই দিনের স্লেজিংয়ের কথা জানিয়েছেন ফ্লিনটফ নিজেই। তিনি বলেন, ‘শোয়েব শুরু থেকেই আমার দিকে বাঁকা চোখে তাকাত। আমাকে বারবার মোটা বলে ক্ষেপাত। আমি ভাবতাম, কড়া একটা জবাব দিতে হবে। তাই ওর কাছে গিয়ে বললাম, তুমি তো দেখতে টারজানের মতো। যদিও বোলিং করো জেনের (টারজানের নায়িকা) মতো।’
ফ্লিনটফের এই কথা ক্ষেপিয়ে দেয় শোয়েবকে। ফলে পরিণতি দাঁড়ায়, ‘শোয়েবকে এ কথা বলার ফল খুব দ্রুতই পেয়ে যাই। আমি ব্যাট করতে নামি। খুব সম্ভবত প্রথম বা দ্বিতীয় বল হবে, আমার অফস্টাম্প পেছনে হাওয়ায় ভাসছিল, স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল। আমি যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিলাম, সে এসে বললো, ওহ তাই?’
এসএএস/জেআইএম