ফাঁকা স্টেডিয়ামে হলেও আইপিএল চান এই অসি তারকা
করোনার কারণে সারা বিশ্বের মত থমকে গেছে ক্রীড়া দুনিয়াও। গত ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল ভারতের মাল্টি বিলিয়ন ডলারের ফ্রাঞ্জাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল। কিন্তু করোনার কারণে সেই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ এপ্রিলও যে আইপিএল শুরু করা সম্ভব নয়, সেটা এখন স্পষ্ট। সুতারং, আইপিএল পিছিয়ে যাচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
তবে, আইপিএল শুরু করার জন্য নানা দিক থেকে চাপও আসছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের ওপর। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন বলছেন, আইপিএলের মৌসুম বাতিল নয়, বরং সঙ্কট কেটে যাওয়ার পরপরই যেন আইপিএল দিয়ে মৌসুম শুরু করা হয়। ইংল্যান্ডের আরেক ক্রিকেটার জস বাটলার বলছেন, করোনার জন্য আইপিএল বন্ধ রাখা লজ্জাজনক।
তবে, এবার আইপিএল চালানোর পক্ষে নিজের মত দিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। তিনি দাবি তুললেন, সমর্থকদের স্টেডিয়ামে উপস্থিতি যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহলে প্রয়োজনে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করা হোক। তবুও আইপিএল চলুক।
বিবিসির পক্ষ থেকে প্রশ্ন রাখা হয় প্যাট কামিন্সের কাছে। সমর্থকছাড়া যদি আইপিএলের আয়োজন করা হয়,তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? কামিন্স বলেন, ‘অবশ্যই, যেভাবেই খেলা আয়োজনের চেষ্টা করা হোক না, সেটাই করা উচিৎ। এতবড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সময় অবশ্যই নিরাপত্তাটাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্যাট কামিন্স উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় সেরা ৫ জনের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আইপিএলের এবারের নিলামে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রিত ক্রিকেটার। ১৫.৫ কোটি রুপির বিনিময়ে তাকে কিনে নিয়েছিল কলকাতা নাইটরাইডার্স। শুধু তাই নয়, আইপিএলের ইতিহাসে বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার হলেন তিনি।
প্যাট কামিন্স খুব বেশি আশাবাদী, আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে। তিনি চান যেভাবেই হোক আইপিএল মাঠে গড়াক। তবে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, যদি দ্রুতই টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ায়, তাহলে তা হবে আশ্চর্যজনক। বিবিসিকে কামিন্স বলেন, ‘প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, নিরাপত্তা। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হচ্ছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা এবং সব কিছুতে সাম্য বিরাজ করা।’
দর্শক ছাড়া আইপিএল নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘যদি দুর্ভাগ্যজনকভাবে দর্শকছাড়াই আইপিএল আয়োজন করতে হয়, তাহলে তাই হবে। কিন্তু আমি আশাবাদী মানুষ অন্তত টিভিতে হলেও আইপিএলটা দেখতে পাবে।’
বিষয়টা সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা হবে দাবি করে কামিন্স বলেন, ‘যদি দর্শকছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হয়, তাহলে সেটা হবে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। কারণ, ভারতের মাটিতে খেলত যাওয়ার অর্থই হলো, এখানে প্রচুর দর্শক হয় মাঠে এবং আমরা সে অভিজ্ঞতার কথাই বলি সবার আগে। কারণ, তারা প্রতিটি বলেই উল্লাস প্রকাশ করে। সেটাকে ছক্কা হোক কিংবা উইকেট হোক। প্রতিটি বলেই উচ্ছাস থাকে। সে কারণেই পরিবেশটা এমন থাকে যে, ভারতের মাটিতে খেলতে যেতেই আমাদের ভালো লাগে।’
আইএইচএস/