সকালে যখন আমার স্ত্রী বেরিয়ে যায় খুব ভয় লাগে : ওয়াকার ইউনুস
করোনাভাইরাসের প্রকোপে আতঙ্কিত পুরো বিশ্বের মানুষ। তবে ভয়টা তাদের আরও বেশি, যাদের পরিবারের কেউ নিয়োজিত আছেন চিকিৎসাসেবায়। কিন্তু বিপদের দিনে এই চিকিৎসকরা যদি নিজের কথা চিন্তা করেন, তবে মানুষগুলো বাঁচবে কিভাবে! তারা তাই প্রাণের ভয় করছেন না, কাজ করে যাচ্ছেন ঝুঁকি নিয়েই।
তবে আপনজন বলে কথা, মনের ভয়টা তো আর সামলে রাখা যায় না। যেমনটা পারছেন না পাকিস্তানের পেস কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস। তার স্ত্রী ফারিয়াল পেশায় একজন চিকিৎসক। এই সংকটময় মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যেহেতু করোনাভাইরাস সংক্রামক, জীবনের ঝুঁকি আছে ডাক্তারদেরও।
পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও বর্তমান বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা অনেক দিন ধরেই। সেখানেই একটি হাসপাতালের ডাক্তার তার স্ত্রী। এমন দুঃসময়ে ফারিয়ালের মতো চিকিৎসাকর্মীরা যেভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন ওয়াকার।
তবে ভয়ও যে কাজ করে মনে, স্বীকার করলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক, ‘যখন আমার স্ত্রী ডা. ফারিয়াল ওয়াকার সকালে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়, আমার ভয় লাগে। তবে সে যখন ফিরে আসে, তখন তৃপ্তিও পাই। কেননা আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমার স্ত্রী একজন বীর।’
স্ত্রী এবং সকল চিকিৎসাকর্মীকে স্যালুট জানিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘লড়াই করে যাও মেয়ে। বিশ্বের সকল ডাক্তার এবং নার্সের জন্য শ্রদ্ধা। আমরা তোমাদের কাছে বড় ঋণী হয়ে গেলাম।’
তিন সন্তানের জননী ফারিয়াল ওয়াকারও মনে করেন, এ দুর্যোগে হাল ছাড়া যাবে না, থাকতে হবে শক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তার অ্যাকাউন্টে বিখ্যাত দার্শনিক কনফুসিয়াসের সেই বিখ্যাত উক্তিটি শোভা পাচ্ছে, ‘কখনো ব্যর্থ না হওয়া গৌরবের নয়। বরং প্রত্যেক ব্যর্থতার পর উঠে দাঁড়ানোই সত্যিকার গৌরব।’
এমএমআর/পিআর