না ফেরার দেশে শফিউলের বাবা
দীর্ঘদিন ধরে লান্স সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর করেন হার্ট অ্যাটাক। শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় দলের পেসার শফিউল ইসলামের বাবা জাহিদুর রহমান। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তারকা পেসার শফিউল ইসলাম নিজে। তিনি বলেন, ‘আব্বা দীর্ঘদিন ধরেই লান্স সমস্যায় ভুগছিলেন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; কিন্তু লাইফ সাপোর্টে থাকা অস্থায় সোমবার তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। মঙ্গলবার ৩টা ৫ মিনিটে বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে যখন বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে চলছিল, তখন অসুস্থ হয়ে পড়েন শফিউল ইসলামের বাবা জাহিদুর রহমান। এরপর গত দুই সপ্তাহ মিরপুর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বাবার অসুস্থতার খবরে সিলেট থেকে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলেই ঢাকায় ফিরে আসেন শফিউল।
শেষ চারদিন শফিউলের বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ অবস্থায়ই সোমবার তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।
শফিউল জানান, বুধবার বাদ জোহর বগুড়ায় নিজ বাড়িতে তার বাবার দাফন সম্পন্ন হবে। শফিউলের বাবার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ ক্রিকেটাররা।
আইএইচএস/এমএস