উদ্বোধনী ম্যাচে লিটন-নাঈম শূন্য রানে সাজঘরে

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৮ এএম, ১৫ মার্চ ২০২০

এ যেনো সোজা আকাশ থেকে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়া! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি; ব্যাট হাতে নামলেই যেনো রানের ফোয়ারা ছুটেছে লিটন দাসের ব্যাট থেকে। তিন সিরিজের ছয় ইনিংসে ৩ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ভর করে ১২০.৭৫ গড়ে ৪৮৩ রান করেছিলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ফলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের লিটনের প্রতি ছিলো বাড়তি প্রত্যাশা। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচে প্রত্যাশার চাপে ভেঙে পড়লেন লিটন। তার সঙ্গী হলেন জাতীয় দলের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও। এ দুই ওপেনারই সাজঘরে ফিরেছেন শূন্য রানে।

আজ (রোববার) শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। দেশের হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড এবং প্রথম বিভাগ থেকে উন্নীত হয়ে প্রিমিয়ারে আসা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।

প্রথমবারের মতো আবাহনীতে খেলতে এসে, নিজের প্রথম ম্যাচে টসটা জিতেছেন মুশফিকুর রহীম। উড়ন্ত ফর্মে থাকা লিটন-নাঈমদের ব্যাটের আগুন দেখার জন্য আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন আবাহনী অধিনায়ক। কিন্তু দলকে হতাশ করেছেন লিটন-নাঈম দুজনই।

নবাগত পারটেক্সের পেসার রনি হোসেনের প্রথম ওভারের একদম শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন। ঠিক তার পরের ডেলিভারি অর্থাৎ দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে নাঈম আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা রনি লাইন-লেন্থ ঠিক করতে ভুগছিলেন বেশ সমস্যায়। প্রথম ওভারেই ওয়াইড থেকে খরচ করেন ৬ রান। তার ওভারের শেষ বলটি বেশ নিচু হয়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ভেঙে যায় লিটনের স্ট্যাম্প।

নাঈম অবশ্য নিজের দোষেই আউট হয়েছেন। জয়নুল ইসলামের বিপক্ষে মুখোমুখি প্রথম বলেই অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন নাঈম। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে সেটি চলে যায় উইকেটের পেছনে। নিরাপদে তা গ্লাভসবন্দী করেন একসময় জাতীয় দলে খেলা উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ ওভারে আবাহনীর সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬ রান। ব্যাটিং করছেন অধিনায়ক মুশফিক ও বাঁহাতি তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের কেউই এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। মুশফিক ১১ ও শান্ত মোকাবেলা করেছেন ৫টি ডেলিভারি।

আবাহনী লিমিটেড একাদশ: লিটন কুমার দাস, নাঈম শেখ, মুশফিকুর রহীম (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান রানা, আরাফাত সানি, তাইজুল ইসলাম।

পারটেক্স স্পোর্টিং একাদশ: তাসামুল হক (অধিনায়ক), হাসানুজ্জামান, আব্বাস মুসা আলভি, জয়নুল ইসলাম, সায়েল আলম রিজভী, মইন খান, রনি হোসেন, মোসাদ্দেক ইফতেখার রাহী, ধীমান ঘোষ (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ চৌহান এবং নাজমুল হোসেন মিলন।

এসএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।