গোপনে শুরু সৌম্যর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা
পূর্ব পরিচিত ও জানাশোনা খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজাকে বিয়ে করছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। ইতোমধ্যে বিয়ের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। নিজের বন্ধু ও নিকটজনদের মাঝে সৌম্য সরকার বিয়ের আমন্ত্রণপত্র বিতরণও ইতোমধ্যে শেষ করেছেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার নিজ বাড়িতে সৌম্য সরকারের আশীর্বাদ হয়েছে। আজ (সোমবার) খুলনার টুটপাড়া এলাকার হাজীবাগ রোডে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কনে পক্ষের আশীর্বাদ।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে শুরু হবে সৌম্য সরকারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ২৮ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের মোজাফফর গার্ডেনে (মন্টুমিয়ার বাগানবাড়ি) রাতে আয়োজন করা হয়েছে ‘বৌভাতে’র।
সাতক্ষীরা থেকে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার, একজন মোস্তাফিজুর রহমান ও অপরজন সৌম্য সরকার। একজন বলে ও অপরজন ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে দেশকে জিতিয়েছেন একাধিকবার।
গ্রামের মেঠোপাড়া থেকে এসে এখন বিশ্ব কাঁপানো পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। মিডিয়া থেকে বরাবরই নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন তিনি। তবে মুচকি হেসে মিডিয়া সামাল দিতেও তার জুড়ি নেই।
অপরদিকে সৌম্য সরকারের বেড়ে উঠা সাতক্ষীরা শহরে। বাবা কিশোরী মোহন সরকার ছিলেন শিক্ষক। এরপর পদোন্নতি পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হয়ে অবসরে গেছেন তিনি।
সৌম্য সরকার ও প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার মধ্যে অনেক আগে থেকে জানাশোনা। শেষ পরিণতি হিসেবে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করছেন এই তারা। বিয়ের সানাই বাজার শুরু থেকেই মিডিয়া থেকে দূরে রয়েছেন সৌম্য সরকার ও তার পরিবার। অনেকটা গোপনে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন তারা।
তবে মিডিয়ার কারণে বিয়ের অনেক আগেই প্রকাশ পেয়ে যায় বিয়ের খবর। সৌম্যের বাবা কিশোরী মোহন সরকার জানান, আমাদের বিয়ের অনেকগুলো ধাপ। আজ (সোমবার) কনে পক্ষের আশীর্বাদ হচ্ছে। আমরা সেখানেই রয়েছি। গত ২১ তারিখে সৌম্যের আশীর্বাদ হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হবে।
আমন্ত্রণ, বরযাত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব কিছু বাইরে বলতে চাই না। পরিচিত কিছু মানুষদের আমন্ত্রণপত্র দিয়েছি। এছাড়া কাউকে দেওয়া হয়নি। প্রেসক্লাবে বা সংবাদকর্মীদের বলা হয়নি। দুই একজন কাছের মানুষদের বলেছি। আপনারা কিছু জানতে না চাইলেই খুশি হবো।’
বিয়েতে জাতীয় দলের আর কোন ক্রিকেটার থাকবেন কি না? সেটি জানতে যোগাযোগ করলে সৌম্যর ভাই পুষ্পেন সরকার ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুর ইসলাম বলেন, ‘সৌম্য সরকারের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র প্রেসক্লাবে এসেছে বলে আমার জানা নেই। আর সংবাদকর্মীরাও কারো বিয়ের দাওয়াতের অপেক্ষায় বসে থাকে না। এটা একটা সৌজন্যবোধ ছাড়া কিছু নয়।’
আকরামুল ইসলাম/এমএমআর/এসএএস/এমএস