বিপিএলে ফিক্সিং কাণ্ডে ১৭ মাসের জেল নাসিরের
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফিক্সিং করেছেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) চেষ্টা করেছিলেন। শুধু চেষ্টা নয়, ফিক্সিংয়ের জন্য ঘুষও নিয়েছিলেন জুয়াড়িদের কাছ থেকে।
এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ। এবার তাকে ১৭ মাস জেল দিয়েছেন ইংল্যান্ডের একটি আদালত।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) তদন্তে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন নাসির জামশেদ এবং দুই ব্রিটিশ ইউসুফ আনোয়ার আর মোহাম্মদ ইজাজ।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তারা দোষ স্বীকার করে নেন। এরপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। তারই রায় হলো। জামশেদের সঙ্গে ইউসুফ আনোয়ারের ৪০ মাস এবং ইজাজের ৩০ মাসের জেল হয়েছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিএসএলে নাসির জামশেদ নিজে তো ফিক্সিং করেছেনই, ফিক্সিংয়ে প্রলুব্ধ করেন অন্য খেলোয়াড়দেরও। দুবাইয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড এবং পেশোয়ার জালমির ম্যাচে ৩০ হাজার ইউরোর বিনিময়ে নির্দিষ্ট কিছু বলে তার রান না নেয়ার চুক্তি হয়েছিল জুয়াড়িদের সঙ্গে।
এ তো গেল পাকিস্তান লিগের কথা। বাংলাদেশের বিপিএলেও ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন জামশেদ। ঘুষও নিয়েছিলেন জুয়াড়িদের কাছ থেকে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিপিএলে এই চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
তার সঙ্গে জুয়াড়িদের কথা হয়েছিল দুটি বল ডট দেয়ার বিষয়ে। কিন্তু পরে সে চুক্তি থেকে সরে আসেন জামশেদ। কিন্তু থামেননি। পরের বছরই পিএসলে পরিকল্পিতভাবে ফিক্সিং করেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি টেস্ট, ৪৮টি ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জামশেদ। ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৫ সালের মার্চে। দল থেকে বাদ পড়ার পরই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ‘দাও’ মারার চেষ্টা শুরু হয় তার।
এমএমআর/এসএএস/এমএস