আইপিএলে যোগ দেয়া ভিল্লাভারায়নের সাথে সম্পর্ক চুকে গেল বিসিবির

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

তার স্বদেশি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, রুয়ান কালপাগে, থিলান সামারাবিরার সাথে সম্পর্ক চুকে বুকে গেছে আগেই। এই তিন লঙ্কান এক সময় টিম বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্টের প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন।

হাথুরু বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। রুয়ান কালপাগে স্পিনিং কোচ এবং ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বেও ছিলেন। আর সামারাবিরা ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় কাজ করেছেন। কিন্তু সময়ের প্রবহতায় তারা এখন আর কেউ নেই। প্রত্যেকে নিজ নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

মোদ্দা কথা, এক সময় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের মধ্যে যে এক ঝাঁক লঙ্কান ছিলেন, তাদের প্রায় মূল অংশই আর নেই এখন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয় দল আর এইচপি মিলে কাজ করছিলেন মাত্র দুজন লঙ্কান। একজন মারিও ভিল্লাভারায়ন আর অন্যজন চাম্পাকা রামানায়েকে।
কিন্তু সেই দুজনার থেকে আরও একজন ছুটে গেলেন।

টাইগারদের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নও আর কাজ করবেন না। তার নতুন গন্তব্য ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর আইপিএল। ঐ আসরে তিন বছরের জন্য এক দলের ট্রেনার হিসেবে অফার পেয়েছেন ভিল্লাভারায়ন। সে কথা জানিয়ে বিসিবির কাছে ঐ তিন বছর আইপিএলে কাজ করার অনুমতি চেয়েছিলেন এ লঙ্কান।

কিন্তু বোর্ড তাকে আর না রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এ তথ্য জাগো নিউজকে জানিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা (বিসিবি) কোনো কোচিং স্টাফকে ভিনদেশি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কাজ করার অনুমতি দেইনা। এটা আমাদের বোর্ডের নিয়ম ও নীতির বাইরে। আগেও কাউকে এ অনুমতি দেয়া হয়নি। তাই মারিওকে আমরা জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ থাকা অবস্থায় অন্য কোন লিগে ট্রেনারের দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিতে রাজি নই।’

নিজামউদ্দীন চৌধুরী যোগ করেন, ‘যেহেতু তার সাথে আইপিএলের দলের চুক্তি তিন বছরের জন্য। তাই ঐ দীর্ঘ সময় কোনো কোচিং স্টাফকে বিদেশি লিগে কাজ করার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা মারিও ভিল্লাভারায়নকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছি। তার মানে এ লঙ্কান ট্রেনার এখন থেকে আর বিসিবি বা বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ নন।’

এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।