ঢাকাকে বিদায় করতে চট্টগ্রামের দরকার ১৪৫
চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের আসরজুড়েই ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা ছিলো ঢাকা প্লাটুনের। দলের কোনো ব্যাটসম্যানই ছিলেন না খুব একটা ধারাবাহিক। ভিন্ন ম্যাচে ভিন্ন ব্যাটসম্যানের নৈপুণ্যে তারা উৎরে গেছে বেশ কয়েকবার।
কিন্তু এলিমিনেটরের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এসে ভয়াবহ ব্যর্থতার মুখোমুখি ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ। লড়েছেন কেবল লেগস্পিনার শাদাব খান। তার ফিফটিতে ভর করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ঢাকা দাঁড় করিয়েছে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ। টুর্নামেন্টে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চট্টগ্রামকে করতে হবে ১৪৫ রান।
এ ম্যাচে হারলেই বাদ পড়বে ঢাকা। তবে জিতলেই আবার ফাইনাল নিশ্চিত হবে না চট্টগ্রামের। তাদের অপেক্ষা করতে হবে খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যকার কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচের জন্য। সে ম্যাচের পরাজিত দলের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার-২ খেলতে হবে চট্টগ্রামকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধীরে ধীরে পেছাতে থাকে ঢাকা প্লাটুন। ওপেনার তামিম ইকবাল (১০ বলে ৩), তিনে নামা এনামুল হক বিজয় (৪ বলে ০) কিংবা চার নম্বরে আসা লুইস রিস (৩ বলে ০) কেউই পারেননি উইকেটে থিতু হতে। প্রথম পাওয়ার প্লে'তে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৮ রান।
তামিন, বিজয়, রিস আউট হলে জুটি বাঁধেন আগের ম্যাচে রেকর্ড গড়া মেহেদী হাসান ও মুমিনুল হক। কিন্তু এ ম্যাচে আর কাজ হয়নি তাদের জুটিতে। নবম ওভারের চতুর্থ বলে ৯ বল খেলে ৭ রান করে ফিরে যান মেহেদী, পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকের আলি অনিক।
শুরু থেকে খেলতে থাকা মুমিনুল থামেন ইনিংসের ১১তম ওভারে। তার আগে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩১ বল থেকে করেন ঠিক ৩১ রান। কিছু করতে পারেননি আসিফ আলিও। দলীয় ৬০ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি।
অষ্টম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন থিসারা পেরেরা ও শাদাব খান। দুজন মিলে ৩০ বলে যোগ করেন ৪৪ রান। মাত্র ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন থিসারা। তখন বাধ্য হয়েই কাটা হাত নিয়ে ব্যাট করতে নামতে হয় মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
তখনও ইনিংসের বাকি ছিলো ১৪টি বল। যার মধ্যে দুটি মোকাবেলা করেন মাশরাফি। সে দুই বলে কোনো রান হয়নি। তবে অন্য ১২ বলে আরও ৪০ রান যোগ করে ঢাকা। শেষ দুই ওভারে ঝড় তুলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন শাদাব। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪১ বলে ৬৪ রান করে।
চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ৩টি উইকেট নিয়েছেন রায়াদ এমরিট। এছাড়া রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদের ঝুলিতে জমা পড়েছে দুটি করে উইকেট।
এসএএস/জেআইএম