আইসিসির র‌্যাংকিং পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ ভনের

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

আইসিসির র‌্যাংকিং পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। কিভাবে র‌্যাংকিং করা হয় এবং দলগুলোর পারফরম্যান্স কিভাবে মূল্যায়ন করে এটি তৈরি করা হয়, সেটি মাথায় ঢুকছে না তার।

বর্তমানে আইসিসির দলগত টেস্ট র‌্যাংকিং এক নম্বর অবস্থানে আছে ভারত, তারপর নিউজিল্যান্ড। তিনে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চারে আছে মাইকেল ভনের দেশ ইংল্যান্ড। আর টেস্ট ফরমেটে যে কোনো প্রতিপক্ষের ত্রাস অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

এই র‌্যাংকিং কিভাবে সাজানো হয়েছে, বুঝতে পারছেন না ভন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম সিডনি মর্নিংয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ভন বলেন, ‘সত্যি বলতে আইসিসির এই র‌্যাংকিংয়ের মাথা-মুণ্ডু খুঁজে পাই না আমি। আমার মনে হয়, এটা পুরোপুরি ফালতু একটা জিনিস।’

কেন তার কাছে এটা গ্রহণযোগ্য মনে হয় না, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভন বলেন, ‘আমি জানি না, গত দুই বছরে নিউজিল্যান্ড কত কত সিরিজ জিতে ফেলেছে। কিন্তু তারা দ্বিতীয় অবস্থানে। এমনকি ইংল্যান্ড টেস্টে তিন নম্বর (এখন চারে), এটাও আমার কাছে সঠিক মনে হয় না। গত তিন-চার বছরে ধরে ইংল্যান্ড টেস্টে সংগ্রাম করছে, বিশেষ করে দেশের বাইরে।’

নিজের দেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘তারা (ইংল্যান্ড) ঘরের মাঠে সিরিজ জিতেছে। ইংলিশ কন্ডিশনে তারা অ্যাশেজ ড্র করেছে, হারিয়েছে কেবল আয়ারল্যান্ডকে। আমার মনে হয়, এই র‌্যাংকিং কিছুটা দ্বিধার। আমি মনে করি না, নিউজিল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টেস্ট দল। আমার বরং মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো টেস্ট দল।’

অস্ট্রেলিয়ার ওপরে থাকা দলগুলোর মধ্যে কেবল একটিকেই যোগ্য মনে করছেন ভন। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি, বিশ্বের মধ্যে টেস্টের সেরা দুই দল-ভারত আর অস্ট্রেলিয়া। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমার মনে হয়, এখানে এসে একটিমাত্র দলই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলতে পারে, সেটা ভারত। ১২ মাস আগে তো তারা এখানে জিতেছেও।’

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।