১ রানের জন্য বাঁচলো ডি ভিলিয়ার্স-হেলসদের রেকর্ড
৪৮ ঘণ্টা আগেই শক্তিশালী ঢাকা প্লাটুনের অভিজ্ঞ বোলারদের বিপক্ষে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যা ছিলো বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রামের যেকোনো দল ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
এ রেকর্ডটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই নতুন করে লিখলো তারা। এবার তারা করেছে আগের ম্যাচের চেয়েও ১৭ রান বেশি। তা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বসিয়েছে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহের তালিকার দুই নম্বরে। মাত্র ২ রানের জন্য তারা টপকাতে পারেনি রংপুর রাইডার্সের করা ২৩৯ রানের রেকর্ড সংগ্রহকে।
ইমরুল কায়েস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, আভিশকা ফার্নান্দো ও নুরুল হাসান সোহানদের সম্মিলিত ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ২৩৮ রান। যা কি না বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
মজার বিষয় হলো, বিপিএলে এতদিন ধরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিলো গত আসরে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ৫ উইকেটে ২৩৭ রানের ইনিংসটি। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস নেই, তবে কুমিল্লার দলের বিপক্ষেই তাদের রেকর্ড টপকে গেলো চট্টগ্রাম।
কুমিল্লাকে টপকে গেলেও মাত্র ২ রানের জন্য রংপুর রাইডার্সের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি চট্টগ্রাম। বিপিএলের গত আসরে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর। সে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও অ্যালেক্স হেলস। মাত্র ২টি রান হলেই ভেঙে যে ডি ভিলিয়ার্স-হেলসদের করে যাওয়া এই রেকর্ডটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার লেন্ডল সিমনস ৭ বলে ১০ রান করে ফিরে গেলেও পরের ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলেছেন। লঙ্কান ওপেনার আভিশকা ২৭ বলে ৪৮, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৪১ বলে ৭২, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান ১৫ বলে ২৯ এবং সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া ইনিংসে মাত্র ২৭ বলে ৫ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৭১ রান করেন ওয়ালটন।
বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
১. রংপুর রাইডার্স - ২৩৯/৪ বনাম চিটাগাং ভাইকিং (২০১৯, ষষ্ঠ আসর)
২. চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ২৩৮/৪ বনাম কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স (২০১৯, সপ্তম আসর)
৩. কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস - ২৩৭/৫ বনাম খুলনা টাইটানস (২০১৯, ষষ্ঠ আসর)
৪. চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ২২১/৪ বনাম ঢাকা প্লাটুন (২০১৯, সপ্তম আসর)
৫. ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস - ২১৭/৪ বনাম রংপুর রাইডার্স (২০১৩, দ্বিতীয় আসর)
এসএএস/এমএমআর/পিআর