সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুইটিতে ১টি করে জয় ছিলো ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ফলে শেষ ম্যাচটি পরিণত হয় অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে পাত্তাই পায়নি ক্যারিবীয়রা। মূলত প্রথম ইনিংসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল স্বাগতিকরা।
রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির তাণ্ডবে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৪০ রান করে ফেলে ভারত। যার জবাবে শিমরন হেটমায়ার ও কাইরন পোলার্ডের লড়াইয়ের পরেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ৬৭ রানের বড় জয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত।
২৪১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যা জবাব দেয়ার শুধু হেটমায়ার ও পোলার্ডই দিয়েছেন। তিন নম্বরে নেমে ১ চার ও ৫ ছয়ের মারে ২৪ বলে ৪১ রান করেছেন হেটমায়ার। দলের পক্ষে একমাত্র ফিফটিতে ৫ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৩৯ বলে ৬৮ রান আসে পোলার্ডের ব্যাট থেকে।
এছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব, দ্বীপক চাহার, মোহাম্মদ শামি এবং ভুবনেশ্বর কুমার।
এর আগে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলির ত্রিমুখী আগ্রাসনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৪০ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। যা কি না টি-টোয়েন্টিতে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
১১.৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে রোহিত আর লোকেশ মিলেই যোগ করেন ১৩৫ রান। ৩৬ বলে ৬ বাউন্ডরি আর ৫ ছক্কায় ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। পরের ওভারে শূন্যতেই আউট হন রিশাভ পান্ত।
এরপর রাহুল আর কোহলির ৯৫ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। রাহুলের সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার। কিন্তু ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ৯১ রান করে আউট হন এই ওপেনার। ৫৬ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান।
তবে তিন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন কোহলি। ২১ বলেই তিনি তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৭০ রানে। যে ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকান ভারতীয় দলপতি!
এসএএস/জেআইএম