শেন ওয়ার্নের সেই রহস্যময় ডেলিভারির দুই দশক (ভিডিও)

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯

ক্রিকেট ছেড়েছেন এক যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু অসি কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের বলের জাদুর কথা এখনও জ্বলজ্বলে ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে।

তার হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক শতাব্দী সেরা ডেলিভারি। মাইক গ্যাটিংয়ের স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। অ্যাশেজে সেটাই ছিল ওয়ার্নের প্রথম বল। ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজে করা সেই দুরন্ত ডেলিভারির পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ওয়ার্নকে।

তার ঠিক ছয় বছর পর কিংবদন্তি অসি লেগ স্পিনারের ঘূর্ণি ভেঙে দিয়েছিল পাকিস্তান ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের স্ট্যাম্প। সেই ডেলিভারিটাও শতাব্দীর সেরা বলের চেয়ে কম কিছু ছিল না।

আনোয়ারকে ফেরানোর সেই স্বপ্নের ডেলিভারির ভিডিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পোস্ট করেছে তাদের টুইটার হ্যান্ডলে। সে সঙ্গে ওয়ার্নের ভেল্কি দেখে পুরনো দিনে ফিরে গেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। চলছে অসি কিংবদন্তির সেই দুরন্ত ডেলিভারি নিয়ে চর্চা।

সেবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালের ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর হোবার্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট। ওই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাঈদ আনোয়ারকে ফিরিয়েছিলেন ওয়ার্ন।

বলটা অফ স্ট্যাম্পের অনেকটাই বাইরে পড়েছিল। এরপর হঠাৎ রহস্যময় গতি বাঁত করে বলটা। ঢুকে যায় ভিতরে। এতটা যে বলটা ঘুরবে, তা সাঈদ আনোয়ার ঘূর্ণাক্ষরেও প্রত্যাশা করেননি। ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু, ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। উল্টে পাক বাঁ-হাতি ওপেনারের লেগ স্ট্যাম্প মাটিতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সাঈদ আনোয়ার। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সবাই। ওই ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নেন ওয়ার্ন।

হোবার্টের সেই টেস্টে চার উইকেটের ব্যবধানে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৪৬ তোলে অসিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯২ রান করে পাকিস্তান। সেই ইনিংসে যখন আনোয়ার পাক ব্যাটিং লাইন আপকে ভরসা দিচ্ছিলেনন, তখনই ওয়ার্নের হাত দিয়ে বেরিয়ে আসে শতাব্দির অন্যতম সেরা সেই ভেল্কি।

দেখুন সেই ভিডিও-

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।