তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতি মৌসুমেই ডিভিশনাল ক্রিকেটে আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। সবারই এক অভিযোগ, নির্দিষ্ট কিছু দলকে সুবিধা দিয়ে থাকেন আম্পায়াররা।
বাদ গেল না এবারের মৌসুমও। প্রশ্ন উঠেছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ নিয়ে। যেখানে রোববার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নেমেছিল অবনমনের শঙ্কায় থাকা দুই দল ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স ও কামরাঙ্গী চর স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্সের অভিযোগ আম্পায়াররা চুরি করেই হারিয়ে দিয়েছে তাদের।
ম্যাচের স্কোরকার্ডের দিকে তাকালেও মেলে তাদের অভিযোগের সত্যতা। কামরাঙ্গী চরের করা ১৪৮ রানের জবাবে সহজ জয়ের দিকেই ছুটছিলো ঢাকা রয়্যাল। মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে তারা করে ফেলে ১১৯ রান। শেষের ১৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো মাত্র ৩০ রান।
কিন্তু মাত্র ৯ রানের শেষের ৫ উইকেট খুইয়ে তারা ম্যাচটি হেরে বসে ২০ রানের ব্যবধানে। শেষের ৫ উইকেটের মধ্যে ২টি লেগ বিফোর, একটি রানআউট। সেটিও আবার ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬০ রান করা জাহিদ হাসানের। শেষদিকে আম্পায়াররা ইচ্ছে করে এসব ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে অভিযোগ তোলে ঢাকা রয়্যালসের ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ শেষে আম্পায়াররা যখন মাঠ ছেড়ে যাচ্ছিলো, তখন তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘তুই চোর, আম্পায়ার তুই চোর!’ এমন ঘটনায় ওপর থেকে নেমে আসেন ম্যাচ রেফারি মোহাম্মদ মঞ্জুর রহমান। কিন্তু দুই আম্পায়ার সাইদুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম কোনো প্রতিবাদ না করেই মাঠ ছেড়ে চলে যান।
এসময় পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ তুলে ঢাকা রয়্যালসের ক্রিকেটাররা বলেন, ‘পায়ে লাগলেই আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিয়ে এলবিডব্লু আউট দিতে শুরু করেন। শেষের দিকে ব্যাটসম্যান পপিং ক্রিজে পৌঁছে যাওয়ার পরও আম্পায়ার তাকে রান আউট করে ছাড়েন! এটা কোনো ক্রিকেট হলো? এটা তো পরিষ্কার জোচ্চুরি! বিসিবি এত লম্বা গলায় ক্রিকেট দুর্নীতি প্রতিরোধের কথা বলে, অথচ মাঠে তাদের পরিচালিত ক্রিকেট লিগে চিহ্নিত এসব আম্পায়াররা যে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন সেগুলোই তো সবচেয়ে বড় দুর্নীতি!’
পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাচ রেফারি মঞ্জু মাঠে প্রবেশ করলে খেলোয়াড়রা তার কাছে গিয়ে বলে, ‘এভাবে কি ক্রিকেট হয়? চুরি করতে মন চাইলে আগেই বলবেন, তাহলে আমাদের আর পরিশ্রম করে মাঠে আসতে হবে না।’
এসএএস/এমএস