মার্শাল-শুভর সেঞ্চুরি, আল আমিনের আক্ষেপ
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরে এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে সিলেট বিভাগ। আগামী মৌসুমে তারা খেলবে প্রথম স্তরে। সিলেট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে দ্বিতীয় স্তরের অন্য ম্যাচটি হয়ে পড়েছে অর্থহীন। কেননা সেই ম্যাচের ফলাফলে বদলাবে না টুর্নামেন্টের চিত্র।
তবু নিজেদের সেরাটা খেলতে কোনো কমতি রাখছে ঢাকা মেট্রো ও বরিশাল বিভাগ। প্রথম ইনিংসে বরিশালের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। আজ (সোমবার) ম্যাচের তৃতীয় দিন জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে ঢাকা মেট্রোর শামসুর রহমান শুভ ও মার্শাল আইয়্যুবের ব্যাট থেকে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি আল আমিন জুনিয়র।
বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন বরিশাল ৪১৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ২ উইকেটে ২২৫ রান করেছিল ঢাকা মেট্রো। তৃতীয় দিন আবার অলআউট হয়েছে ৪৬৬ রানে, লিড নিয়েছে ৫২ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষ ঘণ্টায় ৩০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে বরিশাল।
২ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে খেলতে নামার সময় শুভ ৯০ ও মার্শাল অপরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে। তৃতীয় দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনে। তবে কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৮তম সেঞ্চুরিতে শুভ আউট হন ১০৩ রান করে, শুভর চেয়ে একটি বেশি সেঞ্চুরি করা মার্শালের ইনিংস থামে ১০৯ রানে। দলীয় ২৬৮ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দুজনে। তবু লিড পায় ঢাকা মেট্রো।
যার পুরো কৃতিত্ব মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আল আমিন ও উইকেটরক্ষক জাবিদ হোসেনের। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পুড়েন আল আমিন, জাবিদ অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। ঢাকা মেট্রো পায় ৫২ রানের লিড।
দিনের শেষভাগে আরাফাত সানির স্পিন ঘূর্ণিতে পড়ে বরিশাল। তাদের খেলা ১৬ ওভারের মধ্যে আরাফাত একাই করেন ৭ ওভার, ৫ মেইডেনের মাধ্যমে তুলে নেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ নেন একটি উইকেট।
দিন শেষে ৩ উইকেটে ৩০ রান করেছে বরিশাল। শেষ দিনে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ঢাকা মেট্রোকে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে তাদের করতে হবে ২২ রান। যার ফলে জয়ের সুযোগ রয়েছে মেট্রোর সামনে।
এসএএস/জেআইএম