এক রাতে চাহার-চাহালের যত রেকর্ড
প্রথম স্পেলে এক ওভারে ২ উইকেট, দ্বিতীয়বার এক ওভারে ১টি উইকেট। আর শেষবার আক্রমণে এসে মাত্র ৮ বলেই সাজঘরে ফেরালেন ৩ ব্যাটসম্যানকে। সবমিলিয়ে মাত্র ২০ বলে ৭ রান খরচায় দ্বীপক চাহারের শিকার ৬টি উইকেট। তার এই বোলিং তোপেই গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
ম্যাচ শেষে চাহারের বোলিং ফিগার ৩.২-০-৭-৬! সন্দেহাতীতভাবেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলিং। এছাড়াও গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। ডানহাতি পেসার চাহারের রেকর্ডময় রাতে ভিন্ন আরেক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন লেগস্পিনার ইয়ুজভেন্দ্র চাহালও।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৭তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে পঞ্চম বলে সরাসরি বোল্ড করে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। যা ছিলো চাহালের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০তম উইকেট। ভারতের পক্ষে দ্রুততম এবং সবমিলিয়ে পঞ্চম দ্রুততম বোলার হিসেবে মাত্র ৩৪ ম্যাচে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন চাহাল।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে চাহালের রেকর্ড কেবল এটিই। তবে রেকর্ডবুকে ঝড় তুলেছেন ডানহাতি পেসার চাহার। এক নজরে দেখে নেয়া যাক এক রাতে চাহারের গড়া কীর্তিগুলো:
৬ - মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগারের বিশ্ব রেকর্ড। এছাড়া সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এটি চতুর্থ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। অজান্থা মেন্ডিস (২ বার) ও ইয়ুজভেন্দ্র চাহালের পর মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেট নিলেন চাহার।
১ - ভারতের প্রথম পুরুষ বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছেন চাহার। তবে নারী ক্রিকেটে ২০১২ সালেই হ্যাটট্রিক করে রেখেছেন ভারতের স্পিনার একতা বিশ্ত। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে চলতি বছর ভারতের পক্ষে তৃতীয় হ্যাটট্রিক এটি। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়ানডেতে মোহাম্মদ শামি এবং টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
১.১৬ - বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ৬ উইকেট নেয়ার পথে চাহারের গড় ছিল মাত্র ১.১৬। যা কি না কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলারদের মধ্যে ইতিহাসের তৃতীয় সেরা।
৭ - তিন ম্যাচের সিরিজটিতে চাহারের বোলিং গড় মাত্র ৭.০০। যা কি না ভারতের পক্ষে কোনো সিরিজে দ্বিতীয় সেরা। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের গড় ছিলো মাত্র ৩.৮৮।
৯ - শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ৯টি উইকেটই নিয়েছেন ভারতের পেসাররা। যা কি না কোনো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ভারতীয় পেসারদের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে ২০০৭ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৯ উইকেট নিয়েছিল ভারতের পেসাররা।
এসএএস/পিআর