১০ ম্যাচে ৬, আজ ১ ম্যাচেই সাইফের ৪ উইকেট
শেরে বাংলার দর্শকরা নিজ নিজ চেয়ারে ঠিকভাবে বসতেও পারেননি, গ্যালারির হাঁটাচলা তখনও স্পষ্ট। অর্ধেকের বেশি দর্শক দাঁড়িয়ে থেকেই দেখলেন বাতাসে উড়ছে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের অফ স্ট্যাম্প আর গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের দিকে তাকিয়ে দুই হাত আকাশে ছুড়ে উদযাপন করছেন বাংলাদেশের পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে সাইফের বোলিং বোঝানোর জন্য এই ঘটনাটিই যথেষ্ঠ। নতুন বল হাতে ইনিংসের শুরুর বলেই দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন গুরবাজের অফ স্ট্যাম্প। এরপর একে একে নিয়েছেন আরও তিনটি উইকেট, পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
প্রথম বলে গুরবাজকে বোল্ড করার পর, নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সাব্বির রহমানের হাতে নাজিব তারাকাইকে ক্যাচে পরিণত করেন সাইফ। দুই ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করে শেষ হয় ডানহাতি এ পেস বোলিং অলরাউন্ডারের প্রথম স্পেল। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নেয়ার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৭তম ওভার পর্যন্ত।
ততক্ষণে পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে ফেলেছেন দুই আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবি এবং আসগর আফগান। প্রথম স্পেলে ২ উইকেট নেয়া সাইফ, নিজের দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন আসগরকে, ভাঙেন বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ঝুলে থাকা জুটিটিকে। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই আবার উড়িয়ে দেন গুলবাদিন নাইবের স্ট্যাম্প।
তবে শেষ ওভারে খানিক এলেমেলো হয়ে যায় সাইফের বোলিং। মোহাম্মদ নবির ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের বিপরীতে ১৭ রান খরচ করে ফেলেন তিনি। যে কারণে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করলেও, তার স্পেল শেষ হয় ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে।
বলা বাহুল্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই সাইফউদ্দিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। নিজের ১১তম ম্যাচে এসে দ্বিতীয়বারের দুইয়ের বেশি উইকেট শিকার এটি তার। এর আগে ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৫৩ রান খরচায় ২ উইকেট শিকারই ছিলো তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সে ম্যাচেই তার এক ওভারে ৩১ রান তুলেছিলেন ডেভিড মিলার।
এসএএস/আইএইচএস/জেআইএম