বিপিএলে থাকতে চায় ঢাকা ডায়নামাইটস, তবে...

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আগামী বিপিএলে কোনো ফ্রাঞ্চাইজি থাকবে না। বিসিবিই এককভাবে আয়োজন করবে এই টুর্নামেন্ট। নাম হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। স্বাভাবিকভাবেই বিসিবির এই সিদ্ধান্তে নাখোস বিপিএল ফ্রাঞ্চাইজিরা।

আগেরদিন সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানালো আরেক ফ্রাঞ্চাইজি ঢাকা ডায়নামাইটস।

আজ বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ডায়নামাইটস জানিয়েছে, তারা থাকতে চায় বিপিএলে। তবে, এ ক্ষেত্রে বিসিবির দেয়া সব শর্ত পূরণ করেই। অর্থ্যাৎ, সেটা স্পন্সর হিসেবে হোক কিংবা দল পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে হোক- যে কোনোভাবেই তারা বিপিএলের সঙ্গে থাকতে চায়।

ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ নিজাম জানিয়েছেন, ‘নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিপিএলের সঙ্গে আমরা থাকতে চাই। আমাদেরকে যদি স্পন্সরের দায়িত্ব দেয়া হয় বা দল পরিচালনার কোনো সুযোগ দেয়া হয়, যে ফরম্যাটেই দিক আমরা নেবো।’

ঢাকার সিইও ওবায়েদ নিজাম পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের (ঢাকা ডায়ানামাইটসের) যে মূল প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো, তারাও বিপিএলের সাথে থাকতে চায়। এখন বোর্ড কিভাবে রাখতে চায়, সেটা বোর্ড জানে। তবে আমরা থাকতে চাই বিপিএলের সঙ্গে। কিভাবে থাকবো সেটা তো জানি না। বোর্ড আমাদেরকে যখন জানাবে, তখন বুঝতে পারবো।’

প্রশ্ন উঠলো, আপনারা কি সব ফ্রাঞ্চাইজি একসঙ্গে থাকতে চান? তখন জবাবে ওবায়েদ নিজাম বলেন, ‘আমরা আমাদেরটা বলতে পারি। তবে সবাই যদি একসঙ্গে বসে সে রকম উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমাদের তো না করার কিছুই নেই।’

ঢাকা ডায়নামাইটস মনে করে না, এক বছর যে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট হবে না, বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় হবে, তাতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না। এ বছর বোর্ড চাইলে ফ্রাঞ্চাইজিদেরকে শুধু স্পন্সর হিসেবে নিতে পারে। এতে করে বিপিএল যে খুব ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা তারা মনে করে না। কারণ, এক বছর বিরতি দিয়ে যদি পুরো টুর্নামেন্টের রোল মডেলটা নতুনভাবে করা হয়, তাদের মনে হয় সেটা সবার জন্যই মঙ্গল হবে।

ওবায়েদ নিজাম বলেন, ‘আসলে আমরা বোর্ডের সিগন্যালের অপেক্ষায়। আমরা ইচ্ছুক, আমাদেরকে মোটামুটি মূল্যায়ন করলেই চলবে। বোর্ড যেভাবে চাইবে আমরা সেটাই মেনে নেবো।’

ঢাকা ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন ওই সংবাদ সম্মেলনে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, যদি কোচিং করার সুযোগ না পান তাহলে কি করবেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘এগুলো নিয়ে এখনও কথা হয়নি। তবে পেলে করবো। না পেলে তো কিছু করার নেই।’

তিনি বললেন, ‘এক বছর ব্রেক দিয়ে যদি টুর্নামেন্টের মডেলটাকে যদি নতুন করে গড়ে তোলা যায়, সেটা খারাপের চেয়ে বরং ভালোই হবে।’

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।