সেই আফিফই এবার ম্যাচ জয়ের নায়ক
তাকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আগে থেকেই। নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টও বড় আশা করে এক প্রায় পৌনে দুই বছর আগে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ঘটিয়েছিল আফিফ হোসেন ধ্রুব’র।
এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান কাম অফব্রেক বোলারের টি-টোয়েন্টি আবির্ভাব ঘটেছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জায়গায়।
আঙ্গুলের ইনজুরি ছিল, তাই খেলতে পারেননি সাকিব। তার বদলে আফিফকে বেছে নিয়েছিলেন নির্বাচকরা; কিন্তু অভিষেকে চরম ব্যর্থ। আবির্ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার সাথে ফিরে গিয়েছিলেন শূন্য রানে।
শ্রীলঙ্কান স্পিনার জীবন মেন্ডিসের বলে ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রায় ১ বছর ৭ মাস পর আবার সুযোগ পেয়েই ম্যাচ জেতানো পারফরমেন্স। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা সেই আফিফ আজ হিরো।
২৬ বলে ৫২ রানের দারুণ সাহসী আর আত্ম-বিশ্বাসী ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশে ফিরলেন সাজঘরে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠলো এ তরুণের হাতে।
অধিনায়ক সাকিব, ওপেনার লিটন, সৌম্য, নির্ভরতার প্রতীক মুশফিক, অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ আর নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সাব্বির রহমান রুম্মন সাজঘরে ফেরার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
জিম্বাবুইয়ান ফাস্টবোলার নেভিল মাজদিভার অফ স্ট্যাম্পের খানিক বাইরের ফুলটচ বলে অফসাইডে ড্রাইভ করতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক মাসাকাদজার হাতে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে আফিফ আটটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কা হাঁকান আত্মবিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে।
একবার পুল করতে গিয়ে মিসটাইম করা ছাড়া পুরো ইনিংসে আফিফ খেলেছেন স্বাচ্ছন্দে। যে বল যেখানে খেলতে চেয়েছেন, সেখানেই পেরেছেন। সাম্প্রতিক সময় এইচপির হয়ে নজর কাড়া পারফরম করেই আবার জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন আফিফ।
প্রথমবার নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও এবার দীর্ঘ বিরতির পর ঠিকই জ্বলে উঠে জানিয়ে দিলেন, আমি পারি। হয়ত প্রথম ম্যাচে পারিনি। তবে আমারও সামর্থ্য আছে ভাল খেলার। দল জেতানোর।
এআরবি/আইএইচএস/